Call

আল্লাহ তায়ালা কিভাবে জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন তার সুপষ্ট বর্ননা নেই। তবে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছেঃ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ পূর্বে আমি জ্বীনকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে সৃষ্টি করেছি। (আল হিজরঃ ২৭) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ আর জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন আগুন হতে। (আর রহমানঃ ১৫) জ্বিন জাতি কী কী খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে এ প্রসংগে হাদিসে এসেছেঃ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা শুকনা গোবর দিয়ে আর হাড় দিয়ে ইস্তিনজা করবে না। কেননা এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাদ্য। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮ হাদিসের মানঃ সহিহ)। সাধারণত মানুষের মতই তাদের জন্ম-মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁদের ভাল মন্দ কাজের জন্য জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারিত হয়। আর যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন এবং বলবেন, হে জ্বিন সম্প্রদায়! তোমারা তো অনেক লোককে পথভ্রষ্ট করেছিলে এবং মানুষের মধ্য থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক অপর কিছু সংখ্যক দ্বারা লাভবান হয়েছে এবং আপনি আমাদের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন এখন আমারা তাতে উপনীত হয়েছি। আল্লাহ বলবেন, আগুনই তোমাদের বাসস্থান, তোমারা সেখানে স্থায়ী হবে, যদি না আল্লাহ অন্য রকম ইচ্ছে করেন। নিশ্চয় আপনার রব প্রজ্ঞাময় ,সর্বজ্ঞ। (আন-আমঃ ১২৮) আমি বহু সংখ্যক জ্বিন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারা একেবারে বে-খবর। (আল-আরাফঃ ১৭৯) আল্লাহ তায়ালা অনেক জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জাহান্নামের জন্য। এর অর্থ এই নয় যে, তিনি বাধ্য করে তাদেরকে জাহান্নামে দেবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ