১) প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান এবং জেগে উঠুনঃ অতিরিক্ত ঘুম বন্ধ করার জন্যে প্রথম এবং প্রধান কাজটি হল প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে উঠা। আপনাকে অবশ্যই রাতে ১১ টার মধ্যে শুয়ে পড়তে হবে এবং সকাল ৭ টার মধ্যে জেগে উঠতে হবে। ছুটির দিনগুলোতেও মানতে হবে এই একই রুটিন। ২) সেট করুন অ্যলার্মঃ সকালে ঠিক সময়ে জেগে উঠার জন্যে ঘড়ির সাহায্য নিন। কোন কারণে ঘড়ি দিয়েও না উঠতে পারার সম্ভাবনা থাকলে, বাসায় কাউকে বলে রাখুন যেন আপনাকে ঠিক সময়ে জাগিয়ে দেয়া হয়। ৩) সন্ধ্যার পর চা-কফি পান করবেন না চা-কফিতে ক্যাফেইন নামক একটি উপাদান অনেক বেশী পরিমাণে থাকে যার কারণে এটি ঘুম তাড়ায়। সন্ধ্যার পর অধিক পরিমাণে চা-কফি পান করলে রাতে ঠিক সময়ে বিছানায় যাওয়ার পরেও আপনার ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। তাই সন্ধ্যার পর চা-কফি বন্ধ রাখুন। ৪) মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করুনঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমানোর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঘোরাঘুরি কিংবা সিনেমা দেখা বা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার ঘুমের ক্ষতি করে। এসব কারণে আপনার ঘুম আসতে দেরি হয় ফলে আপনি সকালে ঠিক সময়ে জাগতে পারবেন না। তাই রাতে ঘুমানোর আধ ঘণ্টা, সম্ভব হলে এক ঘণ্টা আগে কোন গ্যাজেট ব্যবহার নয়। ৫) কোন রোগ আছে কিনা দেখুনঃ অনেক সময় শরীরে কোন রোগ থাকলেও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। যেমনঃ বিষণ্ণতা , ঋতুগত শারীরিক সমস্যা, Glandular Fever, হার্টের সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যা। সুতরাং প্রাথমিক পদক্ষেপ গুলো নেয়ার পরেও যদি ঘুম না কমে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আশা করি উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক মেনে চললে, আপনি বের হয়ে আসতে পারেন অতিরিক্ত ঘুমের জগত থেকে। দেখতে পারবেন ভোরের অসাধারণ সব দৃশ্য, শেষ করতে পারবেন সব কাজ সময়ের মধ্যেই।