Jamiar

Call

কোন ইমানদার ব্যক্তি হঠাৎ মুখ ফসকে অসতর্কতা বশত: কুফরি কথা উচ্চারণ করে ফেললে কাফের হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন,

رَبَّنا لا تُؤاخِذنا إِن نَسينا أَو أَخطَأناّ"হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা হঠাৎ অনিচ্ছাবশত: কোন ভুল করে ফেলি তবে আমাদেরকে ধরিও না।" [সূরা বাকারা: ২৮৬]

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,«إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ ، وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ»."আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” [ইবনে মাজাহ: ২০৪৩; সহীহ ইবন হিব্বান: ৭১৭৫, বায়হাকি-হাসান]

তাছাড়া নিম্নোক্ত হাদিসটি দেখুন, একজন তওবা কারী ব্যক্তি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে কুফরি কথা উচ্চারণ করে ফেলেছিল কিন্তু তারপরও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে কাফের বলেন নি। সহীহ মুসলিমের বর্ণিত হয়েছে,

“বান্দার তওবাতে আল্লাহ তোমাদের ঐ ব্যক্তি থেকে অধিক আনন্দিত হন, যে বিজন মরু প্রান্তরে তার উট হারিয়ে ফেলল। যাতে তার খাদ্য-পানীয় ছিল। উট হারানো কারণে হতাশ হয়ে গাছের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ল। এমন পরিস্থিতিতে সে হঠাৎ দেখতে পেল তার উট তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তখন সে উটের লাগাম ধরে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বলতে লাগল, “হে আল্লাহ,তুমি আমার বান্দা আমি তোমার প্রভু!” অতি আনন্দের কারণে সে এভাবে ভুল কথা বলে ফেলল।” [সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: তওবা করার প্রতি উৎসাহ দান এবং এতে খুশি হওয়া, হা/৪৯৩৪, শামেলা]

তবে যখনই বুঝতে পারবে যে, অসতর্কতা বশত: কুফরি কথা বলে বলেছেন, তখনই কাল বিলম্ব না করে তওবা করে নিবেন। এটা আরও বেশি উত্তম।

 আল্লাহ হলেন পরম দয়ালু ও অতিশয় ক্ষমাশীল।আর হ্যা রাগের বশে যদি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য (পাগল) হয়ে কুফরি কথা বলে তবে তাহলে কাফের হবে না। কারণ পাগলের কোনও হিসাব নাই। কিন্তু যদি আল্লাহর প্রতি তিক্ত-বিরক্ত, ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ অবস্থায় কুফরি কথা বলে-যেমন: আল্লাহকে গালি দেয়, দীন ইসলামকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বা ইসলামের কোনও বিধানকে অস্বীকার করে ইত্যাদি- তাহলে নি:সন্দেহে তা মারাত্মক অন্যায় ও কুফরি মূলক গুনাহ।সুতারাং এরকম গুনাহ থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ