১/ মাহরাম (যাদেরকে বিবাহ করা হারাম) না হলে একজন পুরুষের একজন মহিলার সাথে কথা বলা শরীয়তে জায়েজ নেই। এর কোনো অনুমতি নেই । তবে বিশেষ কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে কথা বলা যাবে । কিন্তু সেক্ষেত্রে শরীয়ত নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারন করে দিয়েছে । আর তা হচ্ছে –..... ১. যদি নারীদের কাছ থেকে পুরুষের কোনো কিছু নেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় , তাহলে সরাসরি সামনে আসবেনা বরং পর্দার অন্তরাল থেকে চাবে। কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে - ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺣِﺠَﺎﺏٍ তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। (সুরাহ আহযাব : ৫৩ ) উপরের হুকুমটি বিশেষভাবে নবী পত্নীগন কে লক্ষ্য করে বলা হলেও তা সমগ্র উম্মতের জন্য প্রযোজ্য । ( মাআরেফুল কোরআন ৭ম খন্ড ) ২. এবং এছাড়াও যদি গায়রে মাহরাম নারীর সাথে কোনো পুরুষের কথা বলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে বাক্যালাপের সময় নারীগন কৃত্রিমভাবে কন্ঠের স্বভাবসুলভ কোমলতা এবং লাজুকতা পরিহার করবে । অর্থ্যাৎ এমন কোমলতা যা শ্রোতার মনে অনাকাংখিত কামনা/আগ্রহ সৃষ্টি করে ।কুরআন শরীফে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ..... ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। (সুরাহ আহযাব : ৩২) ২/ না, এমন মহিলার সাথে কথা-বার্তা বলা জায়েয নয়। তবে জরুরি কোন কথা থাকলে বলতে পারবেন। তবে উপরের শর্তাবলী মানতে হবে। এরকম মহিলার সাথে কথা-বার্তা বলা যাবে না এ জন্য যে, সে আপনার বানানো বোন হলেও তাকে বিবাহ করা হারাম নয়। বরং জায়েয।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ