১.আগে বিষয়টা বুঝতে হবে । ২.উচ্চস্বরে পড়তে হবে ।অভ্যাস না থাকলে প্রথমে জোরে পড়ে পড়ে আস্তে আস্তে পড়া যায় । ৩.পড়ার সময় কল্পনায় ঐ বিষয়কে নিয়ে ভাবতে হবে । ৪.পুরোটা প্রথমে ২-১ বার পড়ে নিতে হবে । ৫.পড়ার মাঝে আধ ঘন্টা পর পর বিরতি দিতে হবে ।তবে বিরতির সময় যেন পাঁচ মিনিটের বেশি না হয় ।ঐ সময় মোবাইল বা টিভি দেখা যাবে না । এরকম চেষ্টা করলে পড়া দ্রুত মুখস্ত হবে ।
১) চোখ দেখবে, কান শুনবে,
মস্তিষ্ক বুঝবে
কঠিন পড়াগুলো জোরে জোরে
উচ্চারণ করে পড়ুন। তবে কেবল জোরে
উচ্চারণ করলেই হবে না, শুনতে হবে খুব
মন দিয়ে। একই সাথে বিষয়টা বোঝার
চেষ্টাও করতে হবে। যে অংশ্তি
বুঝতে পারবেন না, সেটি একাধিক বার
করে পড়ুন।
২) লিখে লিখে পড়া অভ্যাস
করুন
যেটা পড়বেন, সেটা না দেখে
লেখার চেষ্টা করুন। লিখে মিলিয়ে
নিন যে ঠিক হলো কিনা। ঠিক না হলে
আবার লিখুন। কয়েকবার লিখলেই রপ্ত
হয়ে যাবে।
৩) আছে বিশেষ সময়
কঠিন কিছু শিখতে হলে নিজেকে
জোর করে পড়ার টেবিলে বসাবেন
না। শুধুমাত্র তখনই চেষ্টা করুন। যখন আপনি
খুব আগ্রহ বোধ করছেন শেখার। নাহলে
রাতের বেলায় পড়তে বসুন। যেন পড়া
শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।
এতে পড়া সহজে মনে থাকবে।
৪) মস্তিষ্ককে সময় দিন
একটা কিছু ঝানার পর মস্তিষ্কের সময়
প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো গুছিয়ে সংরক্ষন
করতে। মূলত আপনার ঘুমের সময়ে মস্তিষ্ক
এই কাজটি করে। তাই চেষ্টা করুন খুব
কঠিন কিছু পড়া শেষ করার মত ১০ মিনিট
ঘুমিয়ে নিতে। এই সময়ে মস্তিষ্ক সব
ডাটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেবে। যদি
সেটা সম্ভব না হয়, তাহজলে রাতে
ঘুমাতে যাবার আগে সমস্ত পড়া অবশ্যই
একবার রিভিশন করে তবেই ঘুমাতে
যাবেন।
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, পড়া মনে রাখতে না পারা। সাধারণত অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপে তাদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। দেখা যায় যে অনেক পরিশ্রম করে পড়া মুখস্ত করে পরীক্ষা দিতে গেলেন, কিন্তু পরীক্ষা হলে গিয়ে সব বেমালুম ভুলে বসেছেন। তাই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় হিসেবে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হবে। আসুন জেনে নিই সহজ কয়েকটি উপায়, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং পড়া অনেকক্ষণ মনে রাখতে সাহায্য করবে। মনোযোগ তৈরি করাঃ মানুষের সমস্ত ক্রিয়াই নিয়ন্ত্রণ করে মন। আর মনটিকেই প্রথমত বুঝিয়ে নিতে হবে যে এখন আমি এই কাজটি করব এবং এই কাজটি আমাকে মনে রাখতে হবে। তাই পড়ার বিষয়ে আগে মনোযোগ বসিয়ে নিতে হবে। যে পড়াটি পড়বেন সেই পড়াটিতে মনোযোগ স্থাপন করতে হবে। মেডিটেশন করে নিনঃ পড়াশোনায় মনোযোগ পুরোপুরি বসাতে চাইলে ব্রেন থেকে যাবতীয় যত চিন্তা তা মুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ ব্রেনটিকে রিফ্রেশ করতে হবে। এর জন্য মেডিটেশন সবচেয়ে উপযোগী। মেডিটেশন ব্রেনকে সতেজ ও চিন্তামুক্ত করে তোলে এবং এর কাজ করার ক্ষমতাকে হাজার গুল বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে মেডিটেশন করে নিতে পারেন। জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ুনঃ মনে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেন বাবা মায়েরা। একটি বিষয়ে অনেক জটিল টপিক থাকতে পারে। এই জটিল টপিকগুলো একবার পড়ে মনে রাখা সম্ভব না। তাই এই ধরনের জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে অবসর সময়ে তা আওড়াতে পারেন। এতে বিষয়টি মনে থাকবে বেশি। বাস্তবের সাথে মিলিয়ে পড়ুনঃ কোনো কিছু মনে রাখার জন্য তা যদি বাস্তব কোনো বিষয়ের সাথে মিলিয়ে পড়া যায় তাহলে তা অনেক বেশি মনে থাকে। এজন্য যতটা সম্ভব বাস্তব কোনো বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে ধওে পড়াটি মুখস্ত করুন। পড়াটি কাউকে বোঝানঃ স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা পড়াটি মনে রাখতে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হল যে পড়াটি আপনি পড়েছেন তা অন্যকে যদি বুঝিয়ে বলা। এমন অবস্থাতে আপনি যদি কাউকে কোনো জটিল বিষয় বুঝিয়ে বলেন যেমনটা টিচাররা স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি আপনার ব্রেনে এমনভাবে গেঁথে যাবে যা কখনই আপনি ভুলবেন না। এভাবেই পড়তে পারলে অবশ্যই এই পদ্ধতি আপনাকে আপনার পড়া মনে রাখতে সাহায্য করবে।