দ্রুত পড়া মুখস্হ করার জন্য নিচে কয়েকটি টিপস দিলাম :- ১. জোরে পড়ুন : জোরালো কণ্ঠে পড়ুন। জোরে পড়লে মাথায় তথ্য দ্রুত ঢুকে যায়। যেমন একটি গান যখন শোনেন, তখন তা দ্রুত মনে পড়ে। যা পড়ছেন তা কানে প্রবেশ করলে দ্রুত মুখস্থ হবে। ২. লক্ষ্য স্থির করুন : পড়তে বসলে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। বইয়ের কত পাতা পর্যন্ত কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন তা ঠিক করে নিন। নয়তো মনোযোগ হারাবেন এবং সময়ের অপচয় হবে। ৩. নিজেই যখন শিক্ষক : নিজেই নিজের শিক্ষক হয়ে উঠুন। কি পড়লেন, কি মুখস্থ করলেন ইত্যাদি বুঝতে নিজেই শিক্ষকতা পালন করুন। নিজেই পরীক্ষা দিন এবং তা যাচাই করুন। ৪. নোট করুন : যাই শিখবেন তাই লিখে ফেলুন। এগুলো নোট করুন। লেখা হলে তা দ্রুত মাথায় ঢুকে যাবে এবং সহজে ভুলবেন না। ৫. ইন্টারনেটের ব্যবহার : আধুনিক যুগে পড়াশোনার বড় সুবিধা দেয় ইন্টারনেট। বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে ধারণা নিন। যে বিষয়ে পড়ছেন তার সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই হয়তো বইয়ে নেই। এগুলো ইন্টারনেটে দেখে নিন। এতে ধারণা পরিষ্কার হবে। ৬. বিরতি দিন : একটানা অনেকক্ষণ পড়লে অস্থিরতা চলে আসবে। এর জন্যে নিয়মিত অল্প সময়ের জন্যে বিরতি নিন। ৭. চিউইং গাম : এটি চিবোতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, চিউইং গাম চিবোতে চিবোতে পড়লে তা মাথায় দ্রুত প্রবেশ করে। এ সময় মস্তিষ্কের কার্যক্রম দ্রুত হয় এবং গামের ফ্লেভার বেশ উপকারী হয়ে ওঠে। ৮. হাঁটুন : বেশ কিছুক্ষণ পড়ার পর ১৫-২০ মিনিট হেঁটে আসুন। এতে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম পাবে। সংগৃহীত :- আমিতুমি
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহজ কিছু টিপস থাকবে এই আর্টিকেলে। আত্মবিশ্বাস আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। আত্মবিশ্বাস থাকলে অনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আবার কোনো রকমেই বেশি হওয়া চলবে না। অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে নিজেকে তুলনা করে চলনসই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোনো বিষয় পড়তে যাওয়া ভালো। একবার পড়েই মনে রাখা কঠিন। তাই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পড়ে এর সম্বন্ধে একটি ধারণা লাভ করার পরেই মনে রাখা সহজ হয়। আপনার পছন্দমত সময়ে পড়াশুনা করাই ভালো। তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হচ্ছে যেহেতু ঘুমের পরে মন ও মনন পরিষ্কার থাকে সেহেতু ভোর হচ্ছে পড়াশোনার জন্য ভালো সময়। কনসেপ্ট ট্রি পড়া মনে রাখার এটি একটি কৌশল। কোনো বিষয়ে পড়া মনে রাখার জন্য সম্পূর্ণ পড়াটি পড়ে নেয়ার পর সাতটি ভাগে ভাগ করতে হয়। এবং প্রতিটি ভাগের জন্য এক লাইন করে সারমর্ম লিখতে হয়। ফলে পড়ার বিষয়টি সাতটি লাইনে সীমাবদ্ধ থাকে। এর প্রতিটি লাইন একটি পাতায় লিখে অধ্যায় অনুযায়ী একটি গাছ তৈরি করে গাছের নিচ থেকে ধারাবাহিকভাবে পাতার মতো করে সাজাতে হবে। যাতে এক দৃষ্টিতেই পড়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনে পড়ে যায়। এই পাতাগুলোতে চোখ বোলালে লেখাটি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে। বাংলা, ভূগোল ও সমাজশাস্ত্রের জন্য এই কৌশলটি অধিক কার্যকর। কি ওয়ার্ড মনে রাখা যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলোর কি ওয়ার্ড ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। এক্ষেত্রে ছাত্ররা নিজেদের সুবিধামতো নানা রকম ছড়া তৈরি করে নিতে পারেন। ইতিহাস মনে রাখার কৌশল ইতিহাস মনে রাখার জন্যে বইয়ের সব অধ্যায় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা বানাতে হবে। সেখান থেকে কে, কখন, কেন উল্লেখযোগ্য ছিলেন, সেটা সাল অনুযায়ী খাতায় লিখতে হবে। প্রতিদিন একবার করে খাতায় চোখ বোলালে খুব সহজে পুরো বই সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হবে। পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চস্বরে পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখ
মনোযোগ (concentration): আপনি যদি দ্রুত পড়া মুখস্থ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো মনোযোগ স্থাপন। মনোযোগ ছাড়া আপনি কখনোই পড়া মনে রাখতে পারবেন না। তাই পড়তে বসার প্রথম শর্ত হলো আপনার মনোযোগ পড়ার প্রতি কেন্দ্রীভূত করা।
দ্রুততা (speed): মনে রাখবেন “your brain is faster than your tongue” তাই পড়তে বসার সময় আপনার দৃষ্টি পড়ার বইতে নিবদ্ধ রাখুন। আরেকটা পদ্ধতিতে আপনি পড়া দ্রুত আত্মস্থ করতে পারেন সেটা হল সামান্য উচ্চস্বরে পড়া। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে এক কাজ করবে এমনটা নয়। কেউ শব্দ করে পড়া মুখস্থ করতে পারে আবার কেউবা কোন প্রকার শব্দ ছাড়াই পড়তে পারে।
বুঝে পড়া (understanding): যখন আমরা কোন গল্পের বই পড়ি, প্রতিটা লাইন খুব বুঝে বুঝে পড়ি এমনকি এক লাইন বুঝতে না পারলে বার বার সেই লাইনটা পড়ে বোঝার চেষ্টা করি। একইভাবে পাঠ্যবইটিও বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। দ্রুত পড়া মুখস্থ করতে বুঝে পড়ার বিকল্প নেই।
আপনি যতোটা পারেন পড়তে বসে নোট রেখে পড়ুন। যখনই কোথাও আটকে যাবেন তখনই সেই পড়ার সম্পর্কে একটি নোট রাখুন দেখবেন পড়তে গেলে আর আটকাবেনা। পড়াটিও মনে গেঁথে যাবে।
(copy)
আপনার স্মরণশক্তি তুলনামূলক কম,তাই এই সমস্যা হচ্ছে, উত্তরনে নিচের ধাপগুলো দেখতে পারেন
কচি বেলপাতা
খাঁটি ঘিয়ে ভেজে খেলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
আবার ব্রাহ্মী শাক এমন একটি ভেষজ উপাদান,
যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধির নানা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত
হয়। মস্তিষ্ককে সজীব করার একটি আয়ুর্বেদিক
উপায় হলো - দশটি কাঠ বাদাম, দুটি ছোট সাদা
এলাচ, দুটি শুকনা খেজুর একটি মাটির পাত্রে
আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন
সকলে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে, এলাচের দানা
বের করে, শুকনো খেজুরের বিচি বের করে এক
সাথে ৩০ গ্রাম চিনির সাথে মিহি করে বেটে
নিতে হবে। এই মিশ্রণ ২৫ গ্রাম মাখনের সাথে
মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে মস্তিষ্ক সজীব থাকে
এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ব্যায়াম করুন :
জানেন কি নিয়মিত ব্যায়াম স্মরণশক্তি বৃদ্ধি
করতে সহায়তা করে? বিশেষ করে অ্যারোবিকস
ব্যায়াম এক্ষেত্রে বেশি সহায়ক। তালে তালে
নির্দিষ্টভাবে ব্যায়াম করতে হয় বলে তা
মস্তিষ্কের চর্চারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পদ্ধতি
মনে রাখতে মস্তিষ্কে চাপ প্রয়োগ হয়, ফলে
স্মরণশক্তি স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। আবার
যোগব্যায়ামও স্মরনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
যোগব্যায়ামের কিছু আসনে মস্তিষ্ক পূর্ণ
বিশ্রাম পায়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
পায় এবং মনে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
পুষ্টিকর খাবার খান :
পুষ্টিকর খাবার স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে অনেকাংশে
সাহায্য করে। মাতৃগর্ভে থাকার সময় শিশুর
মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ কিছু উপাদানের প্রয়োজন
হয়। গর্ভবতী মা যদি পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে
মস্তিষ্ক যথাযথভাবে গঠিত হয়। আমিষ ও
স্নেহজাতীয় খাবার এ ব্যাপারে সাহায্য করে।
সয়াবিন, দুধ, যকৃত, বাদাম, মাখন ইত্যাদিতে
রয়েছে বিশেষ উপাদান কোলিন। সাইনাপসে
তথ্য আদান -প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে
কোলিন। খাবার থেকে এই উপাদান পাওয়া যায়
বলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে পুষ্টিকর খাবারের
যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
মনোযোগ দিন :
কোনো বিষয় মনোযোগ দিয়ে শিখলে বিষয়টি
মনে রাখা সহজ হয়। তাই কোনো পড়া বা কাজ
শেখার সময় যথেষ্ট পরিমাণে মনোযোগ দিন।
মনোযোগ একটি মানসিক প্রক্রিয়া। তাই এর চর্চা
করলে সহজেই স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন :
মস্তিষ্কে চাপ প্রয়োগ করে বা জোর করে মনে
করার চেষ্টা করার পরও যদি কিছু মনে না পড়ে
তাহলে মস্তিষ্ককে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিন। অন্য
কিছু ভাবুন বা ওই প্রসঙ্গ থেকে একেবারেই সরে
আসুন। এতে কিছুক্ষণ পর প্রয়োজনীয় বিষয়টি
নিজে থেকেই মনে পড়ে যাবে। কোনো কিছু
স্মরণ করার জন্য এ পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর।