শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call

ডায়াবেটিস দেহের প্রতিটি সিস্টেমকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস চোখ, কিডনি, হৃৎপি-, স্নায়ুতন্ত্র, ত্বক, সন্ধি বা জয়েন্ট, প্রজননতন্ত্রসহ দেহের প্রতিটি তন্ত্রই তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারাবে, রোগাক্রান্ত হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর মাংসপেশির কর্মক্ষতা আস্তে আস্তে কমে আসে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি হলে হাত ও পায়ের মাংসপেশি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী হাঁটাহাঁটি হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড় ও জোড়া আক্রান্ত হয়। জোড়ার ভেতর বিভিন্ন ক্রিয়া বিক্রিয়ার ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে। এতে জোড়ার ব্যথা হবে, ফুলে যাবে, হাঁটা চলাফেরা, কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তিব্রতর হয়। রোগীর নামাজ, গোসল, জামা-কাপড়, পরিধান করতে টয়লেট ব্যবহার করতে দৈনন্দিন কাজকর্মে মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় মাংসপেশির অসাড়তা ও হাড় ও জোড়ার ক্ষতি হওয়ার ফলে রোগী পড়ে দিয়ে হাড় ও জোড়া ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন রোগ-ভোগের কারণে রোগী এক পর্যায়ে পঙ্গুত্ববরণ করে বা জীবানাশঙ্কা ঘটে।

তাই ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের বিভিন্ন অসাড়তা, হাড় ও জোড়ার ব্যথায় ব্যথানাশক ওষুধ মোটেও খাওয়া উচিত নয়। এতে করে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস কিডনি অকেজো হওয়া, গ্যাস্টিক, আলসার ইত্যাদি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন অত্যন্ত আধুনিক চিকিৎসা। রোগী একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিলে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অক্ষমতায় পরিমাণ নির্ণয় করে বিভিন্ন থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ, ইলেকট্রো মেগনেটিক রেডিয়েশন, ম্যানুয়েল ও ম্যাকানিকেল থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দিলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে। সে ক্ষেত্রে যেখানে সেখানে ফিজিওথেরাপি নেয়া উচিত নয়। এতে রোগীর সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। দেখেশুনে সঠিক ফিজিওথেরাপি সেন্টারে চিকিৎসা নিলে অবশ্যই রোগী সুস্থ থাকবে।

লেখক : চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক, ডিপিআরসি
২৯ নং প্রবাল হাউজিং, রিং রোড
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ