শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call
অভিযোজিত অঙ্গ বৈশিষ্ট্য অভিযোজনগত গুরুত্ব
১. পাতা ও ফুলের বৃন্ত

(ক) পদ্মের পাতা এবং ফুলের বৃন্তে প্রচুর বায়ু গহ্বর বা বাতাবকাশ থাকে ।

 

(খ) পদ্মের পাতা এবং ফুলের বৃন্তগুলি বেশ লম্বা হয় এবং বৃন্তের বহির্দেশ সূক্ষ্ম কাঁটার দ্বারা আবৃত থাকে ।

(ক) পদ্মের পাতা এবং ফুলের বৃন্তে থাকা বায়ু গহ্বরে সঞ্চিত অক্সিজেনের সাহায্যে এরা শ্বসনকার্য চালাতে পারে । এছাড়া বাতাবকাশগুলোতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস থাকে । সালোকসংশ্লেষের সময় পদ্মগাছ ওই গ্যাস ব্যবহার করে ।

     

(খ) জলজ প্রাণীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য এই বিশেষ অভিযোজনটির প্রয়োজন হয় ।

২. কান্ড পদ্মের কান্ডটি হল গ্রন্থিকান্ড যা জলের নীচে কাদায় পোঁতা থাকে । গ্রন্থিকান্ডে অসংখ্য বাতাবকাশ থাকে । পদ্মের গ্রন্থিকান্ডটি জলের নীচে কাদায় পোঁতা থাকায় সমগ্র উদ্ভিদ দেহটি জলের মধ্যে নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকতে পারে, এছাড়া পদ্মের গ্রন্থিকান্ডে অসংখ্য বাতাবকাশ থাকায় জল থেকে শোষিত অক্সিজেন সহজেই সমস্ত কোশে পৌঁছতে পারে ।

৩. পাতা

(ক) পদ্ম পাতার ফলকগুলো আকারে বেশ বড়ো ও গোলাকার এবং এরা পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় থাকে ।

 

(খ) পাতার ফলকের শুধুমাত্র ওপরের পিঠেই পত্ররন্ধ্র দেখা যায় ।

 

(গ) পদ্ম পাতার ফলকের ওপরের তলটি মসৃণ হয় এবং এখানে মোমজাতীয় পদার্থের আবরণ থাকে ।

(ক) পদ্ম পাতার ফলকগুলো আকারে বড়ো হওয়ায় বেশি পরিমাণে সূর্যালোক শোষণ করতে পারে ।

 

(খ) পদ্মা পাতার নীচের পিঠটি জল সংলগ্ন হওয়ায় পাতার ফলকের শুধুমাত্র ওপরের পিঠেই পত্ররন্ধ্র থাকে এবং এইসব পত্ররন্ধ্রের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ, শ্বসন ও বাষ্পমোচন —পাতার এই তিনটি প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে কোনও অসুবিধা হয় না ।

 

(গ) পদ্ম পাতার ফলকের ওপরের তলটি মসৃণ ও মোমজাতীয় পদার্থের আবরণ দ্বারা আবৃত হওয়ার জন্য পদ্মপাতা জলে ভিজে যায় না ।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ