ভিটামিন ই এর সুবিধা কি কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

কিছু সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো 


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড: কোষ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে শরীরে চাই অ্যান্টঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা মেলে ভিটামিন-ই থেকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের জন্য ক্ষতিকারক মুক্তমৌলের সঙ্গে লড়াই করে। দূষণ এবং ধূপমান থেকে শরীরে মুক্তমৌল তৈরি হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন-ই’তে ভরপুর খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ‘ইমিউন সেল’ বা রোগ প্রতিরোধকারী কোষ তৈরি সহায়ক, যা শরীরে তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া-নাষক অ্যান্টিবডি।

ক্ষত সারাতে: বাজারে ভিটামিন-ই যুক্ত তেল পাওয়া যায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে এর রয়েছে নানান উপকারীতা। এরমধ্যে একটি হল কাটাছেড়ার ক্ষত ও ব্রণ সারানো।  

বয়সের ছাপ দূর করা: কোষ পুণর্গঠন প্রক্রিয়ার জন্য ভিটামিন-ই উপকারী হওয়ায় এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সক্ষম।

অকালে পাকা চুল: চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-ই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চুপ পড়া, অল্প বয়সে চুল সাদা বা ধুসর হওয়া থেকে বাঁচতে চাই ভিটামিন-ই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভিটামিন-ই গ্রহণের সুবিধা:

ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল | প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।


আলোচিত ভিটামিনের নাম ভিটামিন-ই। অনেক খাদ্যে ভিটামিন-ই পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে বলে শরীরে তার অভাব পরিলক্ষিত হয় না। ভিটামিন-ই রাসায়নিক ক্রিয়া বা অক্সিডেশনকে প্রতিহত করে, এ অক্সিডেশন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরের স্নায়ু ও মাংসপেশির কাজ সঠিক করার জন্যও ভিটামিন-ই গুরুত্বপূর্ণ।শরীরের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এসব হচ্ছে-* অন্ত্রের অসুখ * লিভার বা যকৃতের অসুখ * অগ্ন্যাশয়ের অসুখ * অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাকস্থলী অপসারণ।যে শিশু টিনের দুধ খায় তাদের ভিটামিন-ই এর ঘাটতি হতে পারে। মূলত পলি স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে ভিটামিন-ই এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়।দাবি করা হয় যে, ভিটামিন-ই ক্যান্সারের চিকিৎসায় এবং ব্রণ, বয়স বেড়ে যাওয়া, চুলপড়া, মৌমাছির হুলের কামড়ের যন্ত্রণা, ডায়াপার র‌্যাশ, বার্সাইটিস, পাকস্থলীর ঘা, হার্ট অ্যাটাক, প্রসব যন্ত্রণা, কিছু রক্তের অসুখ, গর্ভপাত, মাংসপেশির দুর্বলতা, দুর্বল অঙ্গস্থিতি, যৌন অক্ষমতা, বন্ধ্যত্ব, মেনোপজ, রোদে পোড়া ত্বক এবং বায়ুদূষণের ফলে ফুসফুসের ক্ষতি প্রভৃতি প্রতিরোধ করে। এসব দাবি প্রমাণিত হয়নি। কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় বর্তমানে ভিটামিন-ই ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি কার্যকর কি না সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।যে ব্যক্তির অসুখ থাকার ফলে শরীরে ভিটামিন-ই শোষিত হতে পারে না, তাদের বেলায় এ ঘাটতি দেখা যায়।বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিটামিন-ই বাজারে পাওয়া যায়- * ক্যাপস্যুল * সিরাপ * ট্যাবলেট।খাবারের গুরুত্ব : সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল সুষম এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার খাওয়া। আপনি যদি খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিশেষ কোনো ভিটামিন বা মিনারেল পেতে চান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে আপনার খাদ্য তালিকা তৈরি করে নিন। আপনি যদি মনে করেন খাবারের মাধ্যমে আপনি পর্যাপ্ত ভিটামিন বা মিনারেল পাচ্ছেন না তাহলে একটি পথ্যবিধি মেনে চলুন।বিভিন্ন খাবারে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। তা হচ্ছে-* উদ্ভিজ্জ তেল (কর্ন, কার্পাস তুলার বীজ, সয়াবিন) * গমের ভ্রুণ * সমগ্র খাদ্যশস্য * সবুজ শাকসবজি প্রভৃতি।খাবার রান্না করলে এবং সংরক্ষণ করে রাখলে ভিটামিন-ই কিছুটা নষ্ট হয়। শুধু ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে সেটি সুন্দর খাবারের বিকল্প হতে পারে না এবং সেটি শরীরে শক্তিও উৎপন্ন করতে পারবে না। অন্যান্য খাদ্যের উপস্থিতি ছাড়া ভিটামিনগুলো নিজেরা কাজ করতে পারে না। শরীরে ভিটামিন-ই এর শোষণের জন্য কিছুটা চর্বির প্রয়োজন হয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ