আমি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করি,তাহাজ্জুদের পর বিতর আদায় করি।। কিন্তু মাঝে মধ্যে প্রচন্ড ঘুমের কারনে তাহাজ্জুদ,বিতর,ফজর কিছুই আদায় করতে পারিনা।। এলার্ম-ঘড়িও কাজ করেনা।। পরে ঘুম থেকে উঠার পর খুব খারাপ লাগে বিষয়টির জন্য।। এমনকি সারাদিন কোনকিছুই ভালো লাগেনা।। ফজর তো কাজা আদায় করে নিতে পারি কিন্তু আমার তাহাজ্জুদ আর বিতরের কি হবে।। আর এই ঘুমের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো।। আমার সাথে এরকম ৬ দিন হলো।। খুব লজ্জার মধ্যে আছি,আল্লাহ আমাকে কি ভাবছেন এই কথা ভেবে।। আমি জানি ঈমান মজবুত হলে এরকম হতোনা,কিছু ভালো সাজেশন দিন জাতে আমার ঈমানকে মজবুত করতে পারি।।   
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নিয়মিত আমল অর্থাৎ যে আমল গুলো আপনি দৈনিক করেন সেই আমল গুলো যদি আপনার কোনো কারনে করতে না পারেন... তাহলে  ঔই আমল গুলো পরদিন দুপুর এর আগ পর্যন্ত করতে পারবেন... √√  সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করুন... আর মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যাতে আপনি নিয়মিত  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারেন../ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভুলবশত কিংবা অন্য কোনো বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরবর্তীতে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা তাহাজ্জুদ নফল নামাজ আদায় করা না গেলে কাজা আদায় করতে হয় না। এখন বিতর নামাজ কি কাজা পড়তে হয়? জনাব! কাজা পড়াই উত্তম। বিতরের সালাত নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। এটা কেউ বলেছেন ওয়াজিব, কেউ বলেছেন সুন্নাহ। এককথায় কাজা পড়াই উত্তম। জনাব! প্রচন্ড ঘুমের কারনে বিতর, ফজর আদায় করতে পারলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নিতে হবে। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সফরে ছিলেন। তিনি একদিকে মনোনিবেশ করলেন এবং আমিও তার সাথে মনোনিবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর। তখন আমি বলি এই একজন আরোহী, এই দুইজন আরোহী, এই তিনজন আরোহী এইরূপে আমরা গণনায় সাত পর্যন্ত পৌছাই। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমাদের ফজরের নামাজের প্রতি দৃষ্টি রাখ। অতঃপর রাবী বলেন যে, তাদের কান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল) এবং রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পূর্বে কেউই ঘুম হতে উঠতে পারেননি। ঘুম হতে বেলা উঠার পর জাগ্রত হয়ে তারা উক্ত স্হান ত্যাগ করে সামান্য দূর যাওয়ার পর অবতরণ করে অজু করেন। অতঃপর . বিলাল (রাঃ) আজান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত, অতঃপর দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে- উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তারা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় না করে গুনাহ্গার হয়েছি। এতদ্শ্রবণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামাজ কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্হায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাজটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৪৩৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

গ্রন্থঃ রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল অধ্যায়ঃ দশম অধ্যায় - রমাযানে যে যে কাজ করা রোযাদারের কর্তব্য কিয়ামুল লাইল-এর কাযা যে ব্যক্তি কোন ওযরবশতঃ রাতের নামায (তারাবীহ, তাহাজ্জুদ বা কিয়াম) পড়তে সুযোগ না পায়, সে যদি দিনে তা কাযা করে নেয়, তাহলে তা তার জন্য বৈধ এবং তাতে সওয়াব ও ফযীলতও আছে। তবে বিতর সহ সে কাযা তাকে জোড় বানিয়ে পড়তে হবে। বলা বাহুল্য, তার অভ্যাস মত ১১ রাকআত কিয়াম ছুটে গেলে, দিনের বেলায় ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাকআত নামায কাযা পড়বে। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর তাহাজ্জুদ ঘুম বা ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি কারণে ছুটে গেলে দিনে ১২ রাকআত কাযা পড়তেন।[1]   উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার (পূর্ণ) অযীফা (তাহাজ্জুদের নামায, কুরআন ইত্যাদি) অথবা তার কিছু অংশ রেখে ঘুমিয়ে যায়, কিন্তু তা যদি ফজর ও যোহরের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করে নেয় তবে তার জন্য পূর্ণ সওয়াবই লিপিবদ্ধ করা হয়, যেন সে ঐ অযীফা রাত্রেই সম্পন্ন করেছে।’’[2] [1] (মুসলিম ৭৪৬নং) [2] (মুসলিম ৭৪৭নং, সুনান আবূ দাউদ, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ) http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=4119

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

শুরুতে আমরা কাজা নামাজ আদায় প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি!

ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় না করে সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আদায় করলেই তাকে কাজা নামাজ বলা হয়। কাজা নামাজ আদায় করার অনুমতি শরিয়ত দিলেও ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করা কবিরা গোনা।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা মাউন, আয়াত: ৪-৫)

সুতরাং কোনো কারণে সময় মতো নামাজ আদায় করতে না পারলে তা কাজা করে নেয়া জরুরি।

ফরজ নামাজের কাজাও ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজের (বিতর) কাজাও ওয়াজিব।

★ কোনো মানুষ কোনো নির্ধারিত সময়ে কোনো নামাজ আদায় করার মানত করলে তা যথাসময়ে আদায় করতে না পারলে পরবর্তীতে কাজা করা ওয়াজিব।

★তেমনিভাবে-সুন্নাতে মুয়াক্কাদা (ফজর ও জোহরের পূর্বে যথাক্রমে দুই ও চার রাকাআত নামাজ) এবং নফল নামাজের কাজা নেই। তবে ফজর নামাজের সুন্নাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে ফজরের সুন্নাতের ব্যাপারে খুবই তাকিদ করা হয়েছে। তাই ফজরের সুন্নাত কাজা হলে জোহরের নামাজের পূর্বেই কাজা পড়তে হবে। আর জোহরের সময় অতিবাহিত হলে শুধু ফরজ দু’রাকাআত পড়তে হবে। ফজরের সুন্নাত কাজা পড়তে হবে না।

-উপরের আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হলো যে,ফরজ নামাজের ন্যায় বিতর(ওয়াজিবের কাজাও পড়া যায়),এবং তা ওয়াজিব৷ 

★এবার আসুন ঘুমের কারণে ফজরের নামাজ ছুটে গেলে কি করবো?

ফজরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ‘ফজরের নামাযের সময় শুরু হয় ফজর বা উষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৬১২)

সুতরাং ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে ফজর নামাজ ছুটে গেলে তার ওপর কাজা করা ওয়াজিব। কেননা, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তাহলে তার কাফফারা হলো সে যখনই তা মনে করবে, তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৬৮৪)

★সর্বশেষ-তাহাজ্জুদ!তাহাজ্জুদ  নফল নামাজ,সুতরাং ঘুমের কারণে তাহাজ্জুদ ছুটে গেলে তা কাজা আদায় করতে হবে না৷ এবং আপনার অনুতপ্ত হৃদয়ের কারণে নিশ্চয় আপনি উত্তম প্রতিদান পাবেন৷ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ