ইবাদতের কবুলের অন্যতম শর্ত হালাল রিজিক। অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ শুধু ইবাদত কবুলের অন্তরায়ই নয়, বরং তা ইহকাল-পরকালে অপমানিত করে। হালাল রিজিক গ্রহণকারীর অন্তরাত্মা প্রশান্তি লাভ করে, পক্ষান্তরে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ আহারকারীর অন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ আহারকারীর ভয়াবহতা সম্পর্কে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে : হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলে করিম ইরশাদ করেছেন, যে শরীর হারাম মাল দ্বারা লালিত তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
অন্য বর্ণনায় হজরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি ১০ টাকা দিয়ে কোনো কাপড় কিনল, যার ভিতর একটি ছিল হারাম টাকা, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই কাপড় তার পরনে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবে না।
নামাজ কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত হলো : হালাল রুজি ।উত্তর : কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী হারাম খাদ্যের দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। হারাম উপার্জনে অর্জিত শক্তি সামর্থের দ্বারা কৃত কোনো ইবাদতই কবুল হবে না। তবে, ইবাদতের আদেশটুকু পালিত হবে। কবুল হবে না মানে সওয়াব বা প্রতিদান না পাওয়া। এরদ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত না পাওয়া। কিন্তু হারাম উপার্জনওয়ালা ব্যক্তির নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত মাফ নয়। বিধান হিসাবে পালন করতেই হবে। দায়মুক্তি হতে পারে। তবে, কবুল হবে না। এসব আমলের পাশাপাশি তাকে অবিলম্বে হারাম ত্যাগ করতে হবে। হালাল পথ ধরতে হবে। কবুল হবে না বলে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া মানুষকে কুফুরীর পথে ঠেলে দেয়। কেননা, এতে সংশোধন না হয়ে বরং আল্লাহর হুকুমের সাথে বিদ্রোহের মনোভাব অথবা নৈরাশ্যের আলামত দেখা যায়। সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী