আপনি যদি ইসলামের কতিপয় বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস রাখেন এবং মুখে স্বীকার ও তা অনুসারে কাজ করেন।তবে আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। আল্লাহ গাফ্ফারুন (আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল) আল্লাহ চাইলে আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। ("অতি ক্ষমাশীল তার জন্য যে তওবা করে, ইমান আনে সৎ কর্ম করে, সৎ পথে অচিল থাকে"(সূরা তা-হা, আয়াত ৮২) আল্লাহ তায়ালা বলেছেন আমার রহমত থেকে কেউ নিরাশ হয়ও না। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন বান্দা পাহাড় পরিমান গুনাহ করলেও তিনি ক্ষমা করে দিবেন, তবে ক্ষমার মত ক্ষমা চাইতে হবে। তাই আপনি ধর্ম অনুযায়ী সকল বিষয় মেনে চলুন এবং বার বার তাওবা করুন ইনশা আল্লাহ তিনি আপনাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)। অপর এক হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, জুমা ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক। নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পিছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)। আপনি তিন বছর থেকে জুমার নামাজ পড়েন নি। ইসলামে এ অপরাধ থেকে মাফ পাওয়ার উপায় হচ্ছে তওবা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১) অর্থাৎ তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তার কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩) তিনি আরো বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮ মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে নিয়মিত জুমার নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন।