শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বেতরের নামাজ হলো রমজান মাসের নামাজ ।এশার নামাজের পর বেতর নামাজ আদায় করতে হয়।বেতর নামাজ ২০ রাকাত।৮ অথবা ১৬ রাকাতও  আদায় করা যায় ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বেতরের নামাজ তিন রাকাত। ইস্লামে এই নামাজকে ওয়াজিব করা হয়েছে। এশার নামাজের পর থেকে ফজর শুরু হওয়ার পূর্ব পরযন্ত এই নামাজের ওয়াক্ত থাকে। তবে রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশে এই নামাজ আদায় করা উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

বিতরের সালাত নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। এটা কেউ বলেছেন ওয়াজিব, কেউ বলেছেন সুন্নাহ। ★এই নামাজ তিন রাকাত। অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়বেন। সালাম ফেরাবেন না। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবেন। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবেন। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বেন। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করবেন। এটিই রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনুসৃত পন্থা। অসংখ্য হাদীস থেকে বিষয়টি সুপ্রমাণিত। সা‘দ ইবনে হিশাম রহ. বলেন, হযরত আয়েশা রা. তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; হাদীস ১৬৯৮; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ১৫১ (বাবুস সালাম ফিল বিতর) মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৪, হাদীস ৬৯১২; সুনানে দারাকুতনী ২/৩২, হাদীস ১৫৬৫; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১ -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০) ইমাম হাকেম রহ. হাদীসটি বর্ণনা করার পর বলেন- هذا حديث صحيح على شرط الشيخينঅর্থাৎ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ। ★আমাদের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে এশাও বেতের নামাজের একই সময়। (ফুররুল মুখতার) : বেতেরের নামাজ নির্দিস্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয় । কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ঐ সব লোকেরাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামায আদায় করতে পারেন।কেননা রাসুলে করীম (সাঃ) এই নিয়মেই আদায় করতেন । আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই,তারা অবশ্যই এশার নামাজের সাথে আদায় করবেন।  ★বেতের নামাজে তৃতীয় রাকাতে পুনরায় তাকবীর বাধার পর  দোয়া  পড়া ওয়াজিব ।এখানে মুলত দোয়া করা মুখ্য বিষয় ।" কুনুতের কোনো নির্দিষ্ট নেই । ইহা তাবিইনে বর্ণিত আছে ।কিন্তু উত্তম হল এ দোয়া পড়বে___ আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা.....।  যে ব্যক্তি কুনুত ভাল করে পড়তে পারবেনা ,  সে রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও.....শেষ পর্যন্ত পড়বে ।"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

 বিত্‌র নামাযের রাকআত সংখ্যা  বিত্‌র নামায একটানা এক সালামে  ৯, ৭, ৫, ৩ রাকআত পড়া যায়। ৯ রাকআত বিতরের নিয়ম হল, ৮ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম না ফিরে উঠে গিয়ে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (মুসলিম,  মিশকাত ১২৫৭নং) ৭ রাকআত বিতরের নিয়ম হল, ৬ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম না ফিরে উঠে গিয়ে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্‌), আবূদাঊদ, সুনান ১৩৪২, নাসাঈ, সুনান ১৭১৯নং) কোন কোন বর্ণনা মতে ষষ্ঠ রাকআতে না বসে একটানা ৭ রাকআত পড়ে সর্বশেষে তাশাহহুদ পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (নাসাঈ, সুনান ১৭১৮নং) ৫ রাকআত বিতরের নিয়ম হল, ৫ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (বুখারী, মুসলিম,  নাসাঈ, সুনান ১৭১৭, মিশকাত ১২৫৬নং) ৩ রাকআত বিতরের নিয়ম হল দুই প্রকার; (ক) ২ রাকআত পড়ে সালাম ফিরে দিতে হবে। অতঃপর উঠে পুনরায় নতুন করে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (ইবনে আবী শাইবা, ইর: ২/১৫০)  ইবনে উমারও এইভাবে বিত্‌র পড়তেন। (বুখারী) (খ) ৩ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/২৮, ৩/৩১) এ ক্ষেত্রে মাগরেবের নামাযের মত মাঝে (২ রাকআত পড়ে) আত্‌-তাহিয়্যাত পড়া যাবে না। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) বিতরকে মাগরেবের মত পড়তে নিষেধ করেছেন। (ইবনে হিব্বান, সহীহ ২৪২০,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/৩১, দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৪নং) এতদ্ব্যতীত ৩ রাকআত বিত্‌র মাগরেবের মত করে পড়া, (দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৭নং) নতুন করে তাহ্‌রীমার তকবীর দেওয়ার মত (উল্টা) তকবীর দিয়ে পুনরায় হাত বেঁধে কুনূত পড়া ইত্যাদি কিছু সলফ কর্তৃক বর্ণনা করা হলেও তা সহীহ নয়। (ইর: ৪২৭নং, তুহ্‌ফাতুল আহওয়াযী ১/৪৬৪) অতএব তা বিদআত ও পরিত্যাজ্য। ১ রাকআত বিত্‌র : বিত্‌র এক রাকআতও পড়া যায়। খোদ মহানবী (সাঃ) এক রাকআত বিত্‌র পড়তেন। তিনি বলেন, “রাতের নামায দু রাকআত দু রাকআত। অতঃপর তোমাদের কেউ যখন ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে তখন সে যেন এক রাকআত বিত্‌র পড়ে নেয়।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১২৫৪নং) তিনি আরো বলেন, “বিত্‌র হল শেষ রাতে এক রাকআত।” (মুসলিম,  মিশকাত ১২৫৫নং) তিনি বলেন, “বিত্‌র হল প্রত্যেক মুসলিমের জন্য হ্‌ক বা সত্য। সুতরাং যে ৫ রাকআত বিত্‌র পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক, যে ৩ রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক এবং যে এক রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪২২, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, মিশকাত ১২৬৫নং) ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে বলা হল যে, মুআবিয়া (রাঃ) এশার পরে এক রাকআত বিত্‌র পড়লেন (সেটা কি ঠিক)? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি ঠিকই করেছেন। তিনি তো ফকীহ্‌। তাঁকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও, তিনি নবী (সাঃ)-এর সাহাবী।’ (বুখারী, মিশকাত ১২৭৭নং) এ ছাড়া আরো অন্যান্য বহু সলফ ১ রাকআত বিত্‌র পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা দ্র:)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ