কুতায়বা (রহঃ) হাসান ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ বিতরে পাঠের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়েছেনঃ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ! যাদের আপনি হিদায়াত করে তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত করুন, যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে দূরে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখুন, যাদের আপনি আপনার অভিভাবকত্বে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও আপনসার অভিভাবকত্বে রাখুন। আপনি যা দিয়েছেন তাতে আপনি বরকত দিন। আপনি আমার তাকদিরে যা রেখেছেন এর অসুবিধা থেকে আমাকে রক্ষা করুন, আপনই তো ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীত তো ফয়সালা দিতে পারে না কেউ। আপনি যার বন্ধু তাকে তো লাঞ্ছিত করতে পারবে না কেউ। হে আমার রব! আপনি তো বরকতময় এবং সুমহান। হাদিসের মানঃ সহিহ। বইঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৩/ বিতর, হাদিস নম্বরঃ ৪৬৪ দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম।
কুনুত অর্থ আনুগত্য। দুআয়ে কুনুত মানে আনুগত্যের দুআ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামাজের তৃতীয় কয়েক ধরনের দুআ পড়েছেন। সুতরাং দুআয়ে কুনুত একাধিক। যে কোনো একটি এ সময় পড়া ওয়াজিব। তবে কেউ যদি না পারে তাহলে অন্য কোন দুআ পড়লেও যথেষ্ট হবে। তবে দুআয়ে কুনুত শিখে নেয়া চাই। তবে এখানে দুআয়ে কুনুতের পরিবর্তে সূরা পড়ার বিধান নেই। সূরা পাঠ করা যাবে না।