প্রথমেই বোঝা যাচ্ছে আপনি মানসিক ভাবে দুর্বল। আপনি মন শক্ত করুন। আপনি যদি সারাবছর না পড়ে শুধু পরিক্ষার আগে পরেন তবে এমনটা হতে পারে। সে জন্য পারলে আগে থেকে প্রস্তুতি থাকা দরকার।
**পরীক্ষা ভীতির অন্যতম বড় কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় ভালো প্রস্তুতি নিয়েও শুধু আত্মবিশ্বাসের অভাবে পরীক্ষা খারাপ হয়। তাই, পরীক্ষা ভীতির বিরুদ্ধে তোমার প্রথম অস্ত্র হবে – নিজের প্রতি এক ইতিবাচক মনোভাব। **ধ্যান বা মেডিটেশন অস্থিরতা দূর করতে অসম্ভব কার্যকর। মেডিটেশন তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করবে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করবে। **পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে এক কাজ করো। একটা সাদা কাগজ নাও এবং লিখে ফেলো কেন তুমি ভয় পাচ্ছো সেই পরীক্ষাটি নিয়ে। কিছু কিছু কারণ অনেক হাস্যকর এবং হালকা মনে হতে পারে, তবুও প্রতিটি কারণই লিখে ফেলো। তারপর ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দাও সেই কাগজটা। **পরীক্ষার সময় আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের বারোটা বেজে যায়। যার প্রভাব পড়ে খাদ্যাভ্যাসেও। এই খাদ্যাভাস কিন্তু অনেক ভাবেই আমাদের পরীক্ষাভীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ, আমাদের গ্রহণকৃত খাদ্য সরাসরি আমাদের মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলে।উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের বদলে আমাদের গ্রহণ করা উচিত কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সম্পন্ন খাবার। কারণ, এসব খাবার পরিপাক হয় ধীরে ধীরে। তাই, মস্তিষ্ক একাগ্রতা ধরে রাখতে পারে। এই মনোযোগ বা একাগ্রতার অভাবই আমাদের পরীক্ষাভীতির অন্যতম কারণ। ** স্বাভাবিকভাবে, একজন মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। সেটি সম্ভব না হলে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুম পরীক্ষার আগের রাতে খুব জরুরি।