প্রেম হচ্ছে জীবন। আর জীবন মানে বেচেঁ থাকা। প্রেম বলতে শুধু একটি ছেলে একটি মেয়ের প্রতি আর একটি মেয়ে একটি ছেলের প্রতি গভির আকর্ষন থাকবে কেউ কাউকে ছাড়া ভাবতে বা কিছুই করতে পারছেনা আসলে এটা কে আমি প্রেম মনে করিনা এটা হচ্ছে স্বার্থপরতা। কারন দুটি মানুষ সবকিছু বাদ দিয়ে একা বাচঁতে পারেনা। যখন একটা ছেলে বা মেয়ে প্রেম নামক এই শব্দের মধ্যে প্রবেশ করে তারা মনে করে তাদের পৃথিবীতে শুধু তারা ছাড়া আর কেউ নেই। তাই তাদের ভাবনাই শুধু তারা দুই প্রানহীন প্রানীই বসবাস করে। আসল কথা হচ্ছে প্রেম বলতে বুঝায় ভালবাসা। আর ভালবাসা প্রথমে থাকতে হবে নিজের পরিবারের প্রতিটি মানুষের প্রতি বিশেষ করে বাবা-মা। আরও ভালবাসা থাকতে আত্মীয় স্বজন, পারাপ্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, সমাজ, দেশ, দেশের মানুষ, নিজের কাজ, আর অবশেষে নিজেকে। আর যখন একটি মানুষ সবাইকে, সবকিছুকে ভালবেসে সুন্দরভাবে জীবনটাকে সাজায় তখনই সেই মানুষটি প্রকৃতভাবে বেচেঁ আছে। আর এরই নাম প্রেম।
এই গোপন-গহীন সতেজ হৃদয়ে , শিউলির পাপড়ির মত নরম রাঙ্গা ওষ্ঠে , সবুজ ঘাসের মত এই বুকে , সন্ধার আকাশের মত লাল রক্তে সম্পূর্ণ পাব না ; আমাদের জন্মের আগেও যা রহস হয়েছিল , আমাদের মৃতুর পরও রহস থেকে যাবে এই রক্ত , ওষ্ঠ , মেধার কাছে , তার নামই প্রেম । এই পৃথিবী , ঘাস , বৃষ্টি , শিউলি , ঝরণার কলকাকলি , পাখ - পাখালির কূনজন , অপূর্ব সব প্রজাপতি , অমল রাজহাস , গোলাপ সহ সব ফুল কিছুই সৃষ্টি হইত না -- যদি প্রেম না থাকত ? সব কিছু সৃষ্টির উত্সইতো এই প্রেম । জীবন অশেষ মূল্যবান এটা আমরা সবাই জানি , কিন্তু এই জীবনের চেয়েও মূল্যবান প্রেম । প্রেম শাশত । প্রেম চিরন্তন । প্রেমের আবেগ কে না অনুভব করে ! প্রেম ছাড়া কি জীবন চলে ? না সে জীবনের কোন মুল্য আছে ?
রোমান্টিকতার ধারণা থেকে আমরা জানি, প্রেম হচ্ছে শারীরিক আকর্ষণের অন্য একটা নাম মাত্র। সচরাচর এটা খুবই ক্ষণস্থায়ী। আপনি যেহেতু চান আপনার বিয়েটা এর চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হোক, সেহেতু সম্মানবোধকে বেশি গুরুত্ব দিন। এটাই পরবর্তী সময়ে সত্যিকার ভালোবাসা সৃষ্টি করবে। ‘পড়ে যাওয়া’ নয় বরং ‘তৈরি হওয়া’। এর অর্থ, এমন একটি দাম্পত্য সম্পর্ক যেখানে বিয়ের ২৫ বছর পরও যতবার আপনি আপনার সঙ্গীর দিকে তাকাবেন, ততবার নতুন করে তার প্রেমে পড়বেন। ভালোবাসা সৃষ্টি হওয়া মানে চোখের চাহনি, ইশারা আর কিছু বিশেষ শব্দের মিশেলে তৈরি এমন এক নিজস্ব ভাষা, যে ভাষার ভাষী কেবল আপনারা দুজনা! [বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর, শাইখ ইয়াওয়ার বেগ]