আপনার যদি আসর এবং মাগবের নামাজ কাজা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে েএশার নামাজের আগে বকেয়া দুই ওয়াক্তের কাজা আদায় করে নিবেন । তবে কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে শধুমাত্র ফরজ নামাজে কাজা পড়ে নিবেন । যদি মসজিদে গিয়ে দেখেন জমাত প্রস্তুত সেক্ষেত্রে আগে জমাতে নামাজ পড়বেন তারপর কাজা আদায় করবেন ।
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণীঃ
مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا
“যে ব্যক্তি ছালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা ভুলে যায়, সে যেন ইহা আদায় করে যখনই স্মরণ হবে।” এখানে এরূপ বলা হয়নি, দ্বিতীয় দিন উহা আদায় করে নিবে।
স্বাভাবিক ওয়াক্তীয় নামাজের নিয়ম অনুসারেই কাযা নামাজ পড়তে হয়। একের অধিক লোকের নামাজ কাযা হলে তা জামাতের সহিত আদায় করা যাবে। যদি কোন ব্যাক্তি সালাত আদায়ের কথা ভুলে যায় তা যখনই মনে পড়বে তখনই পড়ে নেয়া উত্তম। হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি কোন সময় সালাত পড়তে ভুলে গিয়ে থাকলে যখন তার মনে পড়ে যায়। তখনই সালাত পড়ে নেয়া উচিত। এছাড়া এর আর কোন কাফফারা নেই। (বুখারীঃ ৫৭২ মুসলিমঃ ৬৮০, ৬৮৪) অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঘুমানোর কারণে কারও সালাত ছুটে গেলে অথবা সালাত আদায় করতে বেখবর হয়ে গেলে যখনই তা স্মরণ হয় তখনই তা আদায় করা উচিত, কেননা মহান আল্লাহ বলেন, আর আমার স্মরনার্থে সালাত কায়েম করুন। (মুসলিমঃ ৩১৬) অন্য এক হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি আমরা সালাতের সময় ঘুমিয়ে থাকি তাহলে কি করবো? জবাবে তিনি বলেন, ঘুমের মধ্যে কোন দোষ নেই। দোষের সম্পর্ক তো জেগে থাকা অবস্থার সাথে। কাজেই যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ভুলে যাবে অথবা ঘুমিয়ে পড়বে তখন জেগে উঠলে বা মনে পড়লে তৎক্ষণাৎ সালাত পড়ে নেবে। (তিরমিযীঃ ১৭৭. আবু দাউদঃ ৪৪১) [একাধিক সালাতের কাযা ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে বুখারীঃ ৫৭১]