সূর্যাস্তের পর ২ টা নামায আছে একটা ইশরাক ও চাশত
নিয়ম নিম্নরূপঃ
আবার ওয়াক্তের কারণে দুটির ফজিলতের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। ফজিলতের বিষয়েও ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। আবার এশরাকের নামাজ পড়লেই যথেষ্ট, আপনাকে আর চাশতের নামাজ আদায় করতে হবে না। তবে আপনি চাইলে এশরাক ও চাশত দুই নামাজ দুই ওয়াক্তে আদায় করতে পারবেন, এটি জায়েজ রয়েছে।
তার পরের মাসআলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো, নফল বা অন্য অতিরিক্ত ইবাদত যেগুলো আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে নিয়মিত আদায় করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে যে আমলটি নিয়মিত করা হয়ে থাকে, সেটি যদিও কম হয়।’ তাই আপনি যদি এটি নিয়মিত করেন, তাহলে আপনার এই আমলটুকু আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার কাছে অত্যন্ত প্রিয় আমলে পরিণত হবে। এই জন্য নফল আমল বা অতিরিক্ত আমল কম করে হলেও আমরা নিয়মিত আদায়ের চেষ্টা করব, এটি হচ্ছে রাসুলের (সা.) সুন্নাহ। আল্লাহর নবী (সা.) কোনো নফল আমল শুরু করেন, কোনো কারণবশত হলেও মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেই আমলকে তিনি ছেড়ে দেননি, বরং নিয়মিত সেই আমল করেছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, নবী (সা.) মূলত নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন, এটি সুন্নাহর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তবে কেউ যদি কোনোভাবে এই নফল আমলটুকুর মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন না। নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে গুনাহর মাস’আলাই আসবে না।
মাগরিবের নামাজ (আরবি: صلاة المغرب; সালাতুল মাগরিব) মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি চতুর্থ। এটি সূর্যাস্তের পর আদায় করা হয়। রাকআত সংখ্যা- মাগরিবের নামাজ তিন রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নত নিয়ে গঠিত। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে শুধুমাত্র তিন রাকাত ফরজ আদায় করতে পারে। এবার দেখুন নামাযের নিয়মাবলি- নামাজ দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। নামাজের ধাপ বা অংশকে রাকাত বলা হয়। প্রতি রাকাতের শুরুতে সুরা ফাতিহা ও অপর একটি সুরা পাঠের পর রুকু করতে হয় অর্থাৎ হাঁটুতে হাত রেখে ভর দিয়ে পিঠ আনুভূমিক করে অবনত হতে হয়। রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তার পর সিজদা দিতে হয়। তিন বা চার রাকাতের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়া পড়তে হয়। নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়ার সাথে "দরূদ শরীফ" পড়তে হয়। নামাজের শেষভাগে দুই দিকে সালাম ফেরাতে হয়। এর পর দলবদ্ধভাবে বা একা একা মুনাজাত বা প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। নামাজের কিছু নিয়ম পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মাযহাবের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে।