আজকে এশার নামাজ এর সমায় আমি অজু করতেছি,এ মত অবস্থায় মসজিদে জামাত আরাম্ভ হয়ে যায়।জামাতে মাত্র ইমাম সহ দুজন লোক উপস্তিত ছিল।স্বাভাবিক ভাবে যে ভাবে দাড়াতে হয় সে ভাবেই দাড়িয়ে ছিল।কিন্তু আমি যখন নিয়ত করে দারালাম হটাৎ ইমাম সাহেব কেরায়াত পড়তে পড়তে সামনে গিয়ে দারায়।যেখানে সে আগে দাড়াতো।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নামাজ হবেনা । ঐ অবস্থায় আপনার উচিত ছিল ইমামের সাথে নতুন করে নিয়ত করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ, এক্ষেত্রে নামায হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যা অবশ্যই নামাজ হবে। আর উনি(ইমাম) সঠিক মাসায়ালা জানেন বলেই ইহা করলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তিন ব্যাক্তি একসাথে নামায আদায় করতে চাইলে জামাআত করে নামায আদায় করতে হবে। কুতায়বা (রহঃ) আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তিন জন লোক হবে তখন তাদের একজন ইমামতি করবে, আর তাদের মধ্যে ইমামতির সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ব্যক্তি যে অধিক কিরাআত জানে। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৮৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ) সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেনঃ আমরা যখন তিন জন এক সাথে নামায আদায় করি তখন আমাদের একজন যেন সামনে এগিয়ে যায় ইমামতির জন্য। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ২৩৩ হাদিসের মানঃ যঈফ। হাদিসের সনদ দূর্বল) ইমাম আবু হানীফা সহ সকল ইমামগন সহীহ হাদীসের মাধ্যমেই আমল করতে বলেছেন। কোথাও বলেননি যঈফ হাদীস বর্ণনা আমলের কথা। আবার কোথাও বলেননি কিছু কিছু যঈফ হাদীস বর্ণনা আমল করা যায়। সকল উলামায়ে কেরামগণ একমত যে, সহীহ হাদীস মোতাবেক আমল করা ওয়াজিব। কাজেই দ্বীন ও শরিয়াতের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) হতে সহীহ সনদে বর্ণিত সুন্নাত ছাড়া অন্য কিছু জাল, যঈফ, মুনকার ইত্যাদি বর্ণনা গ্রহন সম্পূর্ণ পরিহার যোগ্য। কারণ এগুলো সন্দেহ পূর্ণ, ধারনা পূর্ণ। প্রখ্যাত হাদীস বিশ্লেষক গণ বলেন লোকদেরকে সেদিকে আহ্বান করো যে, দুর্বল হাদীসের উপর কোন অবস্থাতেই আমল করা যাবে না। সে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে হোক, বা মুস্তাহাব গুলোর ক্ষেত্রে হোক কিংবা অন্য কিছুর।ক্ষেত্রে হোক। কারণ বিনা মতভেদে আলেমদের নিকট দুর্বল হাদীস দুর্বল ধারনা অথবা অনুমানের অর্থ বহন করে। যেখানে আল্লাহ তায়ালা একাধিক আয়াতে অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমল করাকে অপছন্দ করেছেন, সেখানে কিভাবে বলা যায় যঈফ, দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা যায়। আল্লাহ বলেনঃ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কোন অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসু নয়। (আন নাজমঃ ২৮) জনাব! এক্ষেত্রে নামায হবে কিনা সঠিক মাসআলা দেওয়া মুশকিল। কেননা উপরিউক্ত হাদিসটি যঈফ। এরকম যঈফ হাদিসের উপর যদি আমল করে সামনে এগিয়ে থাকেন তাহলে ভুল করেছেন। ইমাম তার নিজ অবস্হানে থেকেও নামায আদায় করলেও নামায হয়ে যেত। কিন্ত ইমাম কেন এগোলেন? আছে কি কোন সহিহ সঠিক রেফারেন্স? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদারত ছিলেন এমন সময় উকবা ইবনু আবূ মুআইত উটনীর নাড়ি ভুড়িসহ জরায়ু নিয়ে এল এবং তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করলো। মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (সাঃ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছেন তবুও নামাজ থেকে তারা পিছুপা নড়েনি। নফল নামাযে প্রয়োজনে স্হান থেকে নড়াচড়া বা সামনে পিছনে যাওয়া যায়। ফরজের ক্ষেত্রে কি হুকুম এমন উত্তর অন্বেষনে অপেক্ষমান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ