শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

নামাজে দাঁড়ানো মানেই এর আগে মাথায় টুপি পরতে হবে। টুপি সঙ্গে নেই, মসজিদ বা নামাজ ঘরেও সংরক্ষিত বাড়তি টুপি মিলছে না, এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, রুমাল বা গামছা জাতীয় কিছু থাকলে তা দিয়ে মাথা ঢাকা হয়। অর্থাৎ নামাজের বেলায় মাথায় টুপি পরাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে ইদানীং খালি মাথায় নামাজ আদায়ের প্রচলন অনেক বাড়ছে। ইসলামে টুপি ও পাগড়ি ব্যবহার বুজুর্গ মানুষের আলামত বহন করে। রাসুলে করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবায়েকেরাম সাধারণত নিয়মিত পাগড়ি ব্যবহার করতেন। তবে বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায়, নবীজি (সা.) মাত্র এক কাপড়েও নামাজ আদায় করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায়, তিনি খালি মাথায়ও নামাজ আদায় করেছেন। তবে তাঁর সব সময়ের সাধারণ আমল পর্যালোচনা করে বলা যায়, এক কাপড়ে তথা খালি মাথায় নামাজ আদায় করেছিলেন হয়তো কোনো অসুবিধার কারণে অথবা এ কথা বোঝানোর জন্য যে খালি মাথায় নামাজ পড়াও বৈধ। আসলে মাথায় টুপি পরে বা পাগড়ি বেঁধে নামাজ আদায়ের বিষয়টি মৌলিকভাবে সম্পর্কিত হলো, প্রচলন, অভ্যাস ও রীতির সঙ্গে। পশ্চিমা দেশগুলোতে যেখানে মাথা ঢাকা সম্মানজনক মনে করা হয় না, সেখানে খালি মাথায় নামাজ পড়া যাবে। প্রাচ্যের দেশগুলোতে যেখানে মাথা ঢাকা শালীনতার অংশ বলে গণ্য, সেখানে খালি মাথায় নামাজ পড়া মাকরুহ। আল্লামা হাসকফি (রহ.) লিখেছেন, অলসতার কারণে টুপি ছাড়া নামাজ পড়া মাকরুহ। এর মাধ্যমে বিনয় প্রকাশ উদ্দেশ্য হলে কোনো দোষ নেই। তবে যদি নামাজকে অবজ্ঞা-অবহেলা করা উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তা কুফরির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নামাজের মাঝখানে মাথা থেকে টুপি পড়ে গেলে বা পাগড়ি খুলে গেলে, সে ক্ষেত্রে খুব সহজেই তা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব হলে তা করে নেওয়া উত্তম। খুব বেশি নড়াচড়ার প্রয়োজন হলে, যাকে আমলে কাছির বলা হয়, তখন নড়াচড়া না করে এ অবস্থায়ই নামাজ আদায় করে নেবে। (সূত্র : আদ দুররুল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৭, জাদিদ ফিকহি মাসায়িল, পৃষ্ঠা ১১৬) ইমাম ও খতিব, হাতিরঝিল জামে মসজিদ, ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ