বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা করতে পারে । যেমনঃ হার্টের সমস্যা, কফ, ঠান্ডা লাগা, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি । তাই পরীক্ষা করে সমস্যা অনুযায়ী ঔসধ সেবন করতে হবে বা নিয়ম মেনে চলতে হবে । এইজন্য ডাক্তার দেখান । আর যখন ব্যথা শুরু হবে তখন আশেপাশের লোকদের জানাবেন । আর ধীরে ধীরে কথা বলবেন । উত্তেজিত হবেন না । দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন ।
আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক অনেক প্রশ্ন করে থাকেন, তার উত্তরের মধ্যে আপনার বুকের ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবেন। সুতরাং চিকিৎসক কি কি প্রশ্ন করতে পারে, তা জেনে আগে থেকেই সে সব প্রশ্নের উত্তর ঠিক করে রাখলে আপনার রোগ শনাক্তকরণ সহজ হবে, আপনি অনেক ঝামেলা থেকে উত্তরণ পেতে পারেন। যেমন ধরুন বুক ব্যথার ধরন কেমন, এটা কি জ্বালাপোড়ার মতো, চাপা লাগার মতো, না ছুরির আঘাতের মতো, নাকি ফোঁড়ার ব্যথার মতো, নাকি শক্তভাবে চেঁপে ধরার মতো, নাকি আঘাতের ব্যথার মতো; কখন ব্যথা অনুভব হয়, সকাল- দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা বা রাত অথবা ঘুমানোর কালে, ভরা পেটে না খালি পেটে, বিরূপ আবহাওয়ায়, না স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ায়, ফুড়ফুড়ে মেজাজ থাকাকালীন সময়, না চিন্তাগ্রস্ত থাকাকালীন সময়, পরিশ্রম করার সময়। বুকে কোন স্থানে ব্যথা অনুভব করেন- বুকের মাঝখানে, না ডানে-বামে, ব্যথা বুক থেকে গলা-চোয়াল- কাঁধ-পিঠ, হাত অথবা পেটে ছড়িয়ে যায় কিনা, ব্যথা অনবরত বা সময় সময় হয় কিনা, দিনে অথবা সপ্তাহে অথবা মাসে কতবার হয়। কিভাবে ব্যথা নিরাময় হয় যেমন- বিশ্রাম গ্রহণ করলে, পানি পান করলে, উঠা-বসা করলে, জোরে নিঃশ্বাস নিলে, বারান্দায় বের হলে, শুয়া থেকে উঠে বসলে ইত্যাদি। ব্যথার সঙ্গে শরীর অত্যধিক ঘেমে যায় কিনা, শ্বাস ঘন হয়ে আসে কিনা, শ্বাসকষ্ট হয় কিনা, কাশি হয় কিনা। আপনার কাশি থাকলে তার সঙ্গে কফ বের হয় কিনা, হলে কফের রং ও পরিমাণ কেমন, কফ নরম কি আঠালো অথবা শুকনো কাশি কিনা, এর সঙ্গে আপনার বুকে শ্বাস নেওয়ার সময় চিঁ চিঁ আওয়াজ হয় কিনা, শ্বাসকষ্ট হলে আপনাকে বসে যেতে হয় কিনা, বুক ব্যথার সঙ্গে বুক ধড়ফড় করে কিনা। চিকিৎসক আপনাকে এতসব প্রশ্ন করতে পারেন।