পাঁচ ওয়াক্ত কাজা নামাজ একসাথে পড়তে পারেন তাতে কোন দোষ নাই । যদি নিদৃষ্ট করে কাজা নামাজ মনে রাখতে না পারেন । সেক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ঐ ওয়াক্তের উমরে কাজার নিয়তে নামাজ আদায় করতে হবে (শুধুমাত্র ফরজ এবং এশার বিতের পড়তে হবে) । এভাবে যত ওয়াক্ত যতদিন পারেন পড়তে থাকুন যতক্ষন আপনার মনের সন্দেহ মুক্ত না হয় ।
পাঁচ ওয়াক্ত বা তার অধিক কাযা নামায একসাথে আদায় করা যাবে। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে পৃথক পৃথকভাবে আদায় করতে হবে। এক নিয়্যাতে একত্রে আদায় করা জায়েয নয়।
আবূ নুমান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা অবস্থানকালে যুহর ও আসরের আট রাকাআত এবং মাগরিব ও ইশার সাত রাকাআত একত্রে মিলিয়ে আদায় করেন। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৫১৬)
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, বাড়ীতে অবস্থানকালে কোন প্রকার ভয় বা বৃষ্টি না থাকলে এরুপ করা যাবে না। এতে কারো দ্বিমত নেই। তবে ওযর থাকলে, কিংবা সফরের অবস্থায় এরুপ মিলিয়ে পড়া যাবে বলে ইমাম শাফেই, আহমাদ ও মালিক (রহঃ) মনে করেন। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে পৃথক পৃথকভাবে আদায় করতে হবে। এক নিয়্যাতে একত্রে আদায় করা জায়েয নয়।
অত্র হাদীস দ্বারা দুই ওয়াক্তের সালাত এক ওয়াক্তে একত্রিত করা চলে। তিনি কিভাবে জমা করতেন এ সম্পর্কে মুআয ইবনু জাবালের হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আল্লাহর নবী (সাঃ) সফর শুরু করার পূর্বে সূর্য্য ঢলে যেত তখন তিনি যুহরের ওয়াক্তেই যুহর ও আসর জমা করতেন এবং সূর্য্য ঢলার পূর্বে যদি তিনি রওয়ানা হতেন তাহলে যুহরকে দেরী করতেন এবং আসরের সময় সাওয়ারী থেকে নেমে যুহর ও আসর জমা করতেন। আর মাগরিবেও তিনি এরূপ করতেন। অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি সূর্য্য ডুবে যেত তাহলে মাগরিবের ওয়াক্তে তিনি মাগরিব ও ইশা জমা করতেন এবং সূর্য্য ডোবার পূর্বে যদি রওয়ানা হতেন তাহলে মাগরীবকে দেরী করতেন এবং ইশার সময়ে নেমে মাগরিব ও ইশা জমা করতেন।