Upload failed: [object Object]


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না, ফজর নামাজের ফরজ আগে পড়ে, সুন্নাত পরে পড়া যাবে না। কেননা, ফজরের ফরজের পর থেকে সূর্য উদয় হয়ে উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত সুন্নাত বা নফল নামাজ পড়া ঠিক নয়। এজন্য ফজরের সুন্নাত ফরজের আগেই পড়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য, ফজরের সুন্নাতের গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণে এবং পরে আদায় করার অবকাশ না থাকার কারণে ফরজ শুরু হওয়ার পরও সুন্নাত না পড়ে থাকলে সুন্নাত পড়া আবশ্যক। তবে ফরজের অন্তত শেষ বৈঠক পাওয়ার আশা থাকতে হবে। অর্থাৎ, ফরজের শেষ বৈঠকে ইমামের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশা থাকলে সুন্নাত পড়তে হবে। তবে ফরজ শুরু হয়ে গেলে জামাতের আশপাশে সুন্নাতে না দাঁড়িয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এজন্য মসজিদের বাইরে ব্যবস্থা থাকলে ভালো; অন্যথায় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি যদি গিয়ে দেখেন যে, ফজরের ফরজ শুরু হয়ে গিয়েছে, তবে আপনি শরীক হবেন।  সুন্নত পড়ে পরে নিবেন। তবে আমাদের দেশে যে টা করা হয় তাহল, ফরজ পড়ছে একদিকে, আরেকদিকে মুসুল্লি সুন্নত পড়ছে। সহিহ মুসলিম এর ১৫ নং হাদিসে উল্লেখ আছে 

বইঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان), হাদিস নম্বরঃ ১৫

 


 

৪. যে ঈমানের দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করা যায় এবং যে ব্যাক্তি তাঁর উপর আদিষ্ট বিষয়গুলি আঁকড়ে ধরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। 


১৫। আবূ বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক বেদূঈন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে আরয করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা করলে আমি জান্নাতে যেতে পারব। তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না, ফরয সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করবে, নির্ধারিত যাকাত দিবে এবং রামাযানের রোযা পালন করবে। তারপর সে বলল, যার হাতে আমার প্রান তাঁর কসম, আমি এর উপর কখনো কিছু বাড়াব না এবং তা থেকে কমও করব না। লোকটি চলে গেলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেউ কোন জান্নাতী লোক দেখে খুশি হতে চাইলে, একে দেখুক।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=7806

 দেখুন নামাজ ফরয করা হয়েছে।  ৫ ওয়াক্ত। তার মধ্যে ১৭ রাকাত হচ্ছে ফরয নামাজ।  আপনি যদি ফরয বাদ দিয়ে সুন্নত নিয়ে থাকেন, তাহলে ত হবে না। 

হ্যা এইটা ঠিক যে, ফজরের সুন্নতের ফযিলত রয়েছে। তবে ফরয থেকে বেশি নয়।  যে নামাজে রুকু পেল সে ঐ রাকাত টি পেল। দেখুন আপনি যদি রুকু না পান,  তবে ফযরের ফরজ আপনি কাজা পড়তে হবে। 

উল্লেখ্য থাকে যে,  সুর্য উদয়ের আগে নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে অনেক আলেমগন বলেছেন, কারো কাজা নামাজ বা সুন্নত বাকি থাকে অই সময়ে পড়তে পারেন।

যেমন, হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, রাসুল (সঃ) বলেছেন, কেঊ যদি ঘুমের কারনে ফজর নামাজ পড়তে না পারে তবে তার যখন ই মনে পড়বে তখন ই সে পড়ে নিবে

এর থেকে বুঝা যায়, কাজা নামাজ মাকরুহ সময়ে ও পড়া জায়েজ রয়েছে।।। 

আশা করি উত্তর টি পেয়েছেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ