খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আইরন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান যা সুস্বাস্থের জন্য অতি দরকারি। এ ছাড়াও খেজুরে আরও যে সব উপকারিতা আছে- -স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে। -হৃদরোগীদের জন্য খেজুর বেশ উপকারী। -খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী। -হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক। -খেজুর রুচি বাড়ায়। -খেজুর ত্বক ভালো রাখে। -খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। -খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। -পক্ষাঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। -খেজুর ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে। -খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে। প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়। -খেজুরে কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। -নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা অনেক। -খেজুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করে। -খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমার জন্য উপকারী। -উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাটসম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। -খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। -যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। -খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। -শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী।
খেজুর যকৃৎ শক্তিশালী করে, প্রকৃতিতে কোমলতা আনে ও প্রেসার কমায়। খেজুর অন্যান্য ফলের তুলনায় শরীরে সব চেয়ে বেশী খাদ্য সরবরাহ করে। খেজুরে মিষ্টি জাতীয় কোন উপাদান মিশানোর প্রয়োজন নেই, সে নিজেই মিষ্ট, খেজুর মুখের জীবাণু ধ্বংস করে। খেজুর একই সাথে ফল, খাদ্য, ওষুধ ও মিষ্টান্নের কাজ করে।
• পুরানো খেজুর বেছে খাওয়া এবং কীটদষ্ট অংশ ফেলে দেয়া।