Call

একজিমা সাধারণত একটি চর্মরোগ, যার ফলে ত্বক শুস্ক হয়, চুলকায়, আঁশটে এবং লালচে হয় | খোঁচানোর ফলে ত্বক পুরু হয় ও কখনো কখনো উঠে যায় | এর ফলে ত্বক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ত্বক থেকে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে এবং দেখতে ব্রণ আক্রান্ত বলে মনে হয় | এর আর একটি নাম অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস | অনেকে ডারমাটাইটিস এবং একজিমাকে একইসঙ্গে শ্রেণীবিন্যাস করে থাকেন | তবে একজিমা অবশ্যই এক ধরনের ডারমাটাইটিস কিন্তু সব ডারমাটাইটিসই একজিমা নয় | অনেকে আবার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ধরন এটপিক (atopic) ডারমাটাইটিসকেই একজিমা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন | একজিমা কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে, যেমন: এটোপিক একজিমা (Atopic Eczema):- শরীরের যেসব স্থানে ভাঁজ পড়ে যেমন-হাঁটুর পিছনে, কুনইয়ের সামনে, বুকে, মুখে এবং ঘাড়ে সেসব স্থান এটোপিক একজিমা দ্বারা আক্রান্ত হয় | এলার্জিক কনট্যাক্ট একজিমা (Allergic Contact Eczema):- কোন পদার্থ বা বস্তু (Substances) থেকে যখন একজিমা দেখা দেয় | শরীরের যে অংশে এলার্জি হয় সেখানে লালচে দানা দেখা যায় | কিন্তু এটা শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে | ইরিট্যান্ট কনট্যাক্ট একজিমা (Irritant Contact Eczema) :- এটি এলার্জিক একজিমার মতই এবং সাধারণত ডিটারজেন্ট অথবা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত দ্রব্যের ঘনঘন ব্যবহারের মাধ্যমে এই একজিমা দেখা দেয় | মোটামুটি ভাবে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাচ্চার একজিমা হয় | প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই হার ১-৩ % | ৯০% ক্ষেত্রে একজিমা হয় ৫ বছরের আগে | খুব কম ক্ষেত্রেই প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একজিমা দেখা দেয় এ নিয়ে প্রভূত গবেষণা চলছে | কিন্তু ঠিক কারণটি এখনও জানা যায়নি | একেবারে নির্মূল সম্ভব নয়, তাই আক্রান্তকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য এবং রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য | ‘দ্য অমেরিকান একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান’ প্রদত্ত একজিমা প্রতিরোধে করার উপায়- ১) ক্ষারযুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট, গ্যাসোলিন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন | ২) সিনথেটিক এবং উলের কাপড় এড়িয়ে চলুন | ৩) গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন | ৪) গোসলের পরপরই শরীরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন | (Collected from reliable sources over the internet)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারণত চর্মপীড়ায় বাহ্যপ্রয়োগ বা মলম জাতীয় কিছু লাগালে তা ভেতর থেকে প্রকৃত আরোগ্যের বদলে চাপা পড়ে এবং সাধারণত অ্যাজমা রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও চর্মরোগ চাপা পড়লে পুরাতন আকারের পাতলা পায়খানা এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতি পর্যন্ত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হলো সদৃশ ঔষধ সেবন দ্বারা ভেতর থেকে রোগটিকে নির্মূল করা। 


আমার হোমিওপ্যাথি ব্লগঃ

https://abchomeo.blogspot.com




হোমিওপ্যাথিক মতানুসারে যে কোন প্রকার চর্মরোগ সোরা নামক মায়াজম থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই যে কোন প্রকার চর্মপীড়া তে সোরা দোষ নাশক ঔষধ সেবন করতে হয়। তাহলেই রোগটি চিরতরে নির্মূল হয় এবং আর কখনো ফিরে আসেনা। আমরা সাধারণত চর্মপীড়া বা দাউদ এ জাতীয় রোগকে স্থানীয় রোগ ভেবে সেখানে মলম বা বাহ্য প্রয়োগ করে থাকি। কিন্তু আসলে চর্মপীড়া কোন স্থানীয় রোগ নয়। 


মূলত রোগটি জীবনীশক্তি তে শুরু হয় এবং লক্ষণ আকারে তা চর্মের উপরে প্রকাশিত হয় মাত্র। তাই এক্ষেত্রে মলম লাগিয়ে চর্মের স্থানীয় চিকিৎসায় কোন ফল হয় না। ভেতর থেকে রোগটিকে চিকিৎসা করতে হয়। তাহলেই রোগটি ভেতর থেকে বিলুপ্ত হয় এবং চর্ম থেকে এমনিতেই তা অপসারিত হয়ে যায়। 

ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একজিমা বহু কারণে হয়ে থাকে। বিভিন্ন কেমিক্যালস, এসিড, ক্ষার, কিছু এন্টিবায়োটিক, লিপস্টিক, নেইল রিমোভার ইত্যাদির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই একজিমা দু প্রকারের হয়। 


প্রতিরোধ এর জন্য 

জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হয়। বিভিন্ন লোশন বা মলম এর প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি, কর্টিকস্টেরয়েডও লাগতে পারে।  প্রচুর শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ডিম, দুধ, মাছ, কলা যতটূ পারা যায় বাদ দিতে হবে। মেডিকেটেড সাবান ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত জায়গাগুলো সবসময় শুকনা রাখতে হবে।

চর্মরোগ বিভাগের ডাক্তার দেখাতে হবে।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ