শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

মহানবীর (স) জীবদ্দশায় শরীআর যাবতীয় ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি অহীর আলােকে প্রদান করতেন। তাঁর তিরােধানের পর সাহাবীগণ আল-কুরআন ও হাদীসের আলােকে যাবতীয় সমস্যার সমাধান দিতেন। তাবি'ঈ ও তাবি-তাবিঈনের যুগেও এ ধারাই চলতে থাকে। তবে সাহাবী, তাবিঈ এবং তাবিঈনের সময় কুরআন ও সুন্নাহর সাথে তাদের বুদ্ধিবৃত্তি এবং অভিজ্ঞান দ্বারাও কিছু নতুন সমস্যার সমাধান দিতেন। তখন থেকেই ফিকহ শাস্ত্রের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে শুরু করে।

নব নব যুগ সমস্যা : গতিশীল জীবনের প্রয়ােজনে জটিলতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। নতুন নতুন প্রশ্ন ও সমস্যা দেখা দেয়। সেসব সমস্যার সমাধান দিতে কেবল কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান থাকাই যথেষ্ট নয় বরং গবেষণা, প্রজ্ঞা ও উদ্বাবনী অভিজ্ঞতার প্রয়ােজন। সাহাবা, তাবি'ঈ ও তাঁদের অনুগামীগণের মধ্যে যারা এরূপ গুণে গুণান্বিত ছিলেন- মুসলিম জগৎ তাঁদের গবেষণা, ইজতিহাদ ও ফয়সালার উপর নির্ভর করত। তারা কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবাদের সমাধান বহাল রেখে নতুন সমস্যার ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে আরাে যে সকল নতুন সমস্যা সৃষ্টি হবে সেগুলাে সমাধানের মূলনীতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ফলে “উসূলুল ফিক্হ” নামক এক নতুন বিজ্ঞানের উদ্ভব হয়।

আইন সুসংবদ্ধকরণ : কুরআন ও সুন্নাহ থেকে হুকুম-আহকাম খুঁজে বের করে সাধারণের পক্ষে আমল করা সহজ ছিল না। এমতাবস্থায় “ইসলাম একটি দুর্বোধ্য নীতি নিয়ে এসেছে”- এ ধারণা দূরীভূত করার জন্য ইসলামী আইন-বিধানের সুসংবদ্ধ করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এসব কারণে ও প্রয়ােজনে সাহাবীদের যুগেই ফিকহ শাস্ত্রের উদ্ভব হয়। তবে তাবিঈনের যুগে শাস্ত্রাকারে এর সংকলন শুরু হয়। এর পর তাবি-তাবিঈনের যুগে তথা আব্বাসীয় খিলাফতকালে বিধিবদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ‘ফিকহ শাস্ত্রের ব্যাপক সংকলন ও সম্পাদনা সম্পন্ন হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ