শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথম থেকেই ইসলামী জগতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক নব জোয়ার শুরু হয়। এ সময় ব্যাপকভাবে হাদীস সংগ্রহ, সংকলন এবং ফিক্‌হ-এর মাসআলা সম্পাদনা ও ফাতাওয়া সংকলন শুরু হয়।

হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর তৃতীয় দশক হতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ফিক্‌হ সংকলন ও সম্পাদনা শুরু হয়। সে সময় হতে আজ পর্যন্ত সময়কালকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

  1.  গবেষণা ও সংকলনের যুগ;
  2. পূর্ণতা ও তাকলীদের যুগ; 
  3. তাকলীদের যুগ। 

 

এ তিনটি যুগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হল-

* প্রথম যুগ গবেষণা ও সংকলনের

এ যুগে ইমাম আবু হানীফা (র) নিয়মতান্ত্রিকভাবে সর্বপ্রথম ইসলামী ফিকহ সংকলন ও সম্পাদনা শুরু করেন। তিনি তার জীবনকালে ইসলামী ফিকহ-এর উপর মূল্যবান গ্রন্থ রচনায় অবদান রাখেন।

তার এ পথ ধরে এ যুগে আরাে অসংখ্য মুজতাহিদ ফিক্‌হ সম্পাদনা ও সে বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন। এ যুগেই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামআতের মাযহাব চার ফিক্‌হ সংকলিত ও সম্পাদিত হয়। এ যুগেই ফিকহ শাস্ত্রের নীতি-নির্ধারণী ‘উসূল-ল ফিক্হ' নামক আরেকটি শাস্ত্রের উদ্ভব হয়। এ সময় মুসলিম উম্মাহ তাঁদের সম্পাদিত ফিকহ'র অনুসরণ করতে থাকেন। হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর তৃতীয় দশক হতে তৃতীয় শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত এ যুগ অব্যাহত থাকে। এ যুগকে বলা হয়, ইজতিহাদ তথা গবেষণার যুগ।

* দ্বিতীয় যুগ পূর্ণতা ও তাকলীদের

ফিকহ সংকলনের দ্বিতীয় যুগকে তাকলীদের যুগ বলা হয়। হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শুরু হতে সপ্তম শতাব্দীতে আব্বাসীয় রাজবংশের পতন পর্যন্ত এ যুগ অব্যাহত ছিল। এ যুগে তাকলীদ ব্যাপকতা লাভ করে। প্রথম যুগের ইমামগণের উদ্ভাবিত নিয়ম নীতির সমর্থনে অনেক গ্রন্থ রচিত হয়। এ সময়ে মানবজীবনের নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিলে তার ধর্মীয় সমাধান অনুসন্ধান করা হয়। প্রথম যুগের নির্ধারিত মূলনীতিসমূহের আলােকে মাসআলা উদ্ভাবনই ছিল এ যুগের ব্যাপক কাজ। এ যুগের লােকেরা বিশেষত চার ইমামের অনুসরণ করতে থাকেন। ছােট খাটো অন্যান্য ইমামদের ফিকহ-এর বিলুপ্তি ঘটতে থাকে। এ যুগের বিশেষ দিক হল-

  • এ পর্বে নতুন কোন ইমামের উদ্ভব হয়নি।
  • পূর্ববর্তী ইমামদের পূর্ণ অনুসরণ করা হতে থাকে এ যুগে।
  • এ যুগে পূর্ববর্তী ইমামদের প্রদত্ত ফাতওয়াসমূহের ব্যাখ্যা এবং তার সমর্থনে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।
  • যুক্তিভিত্তিক গ্রন্থ রচনা হতে থাকে।

 

* তৃতীয় যুগ একান্ত তাকলীদের

হিজরী ৭ম শতাব্দীর মাঝামাঝি আব্বাসীয় শাসনের সমাপ্তির পর আজ পর্যন্ত তৃতীয় ও সর্বশেষ যুগ যা এখনাে চলমান। মূলত এ যুগে ইজতিহাদ করার মত যােগ্যতাসম্পন্ন লােক না থাকার কারণে ইজতিহাদ প্রক্রিয়া থেমে যায়। ফলে আলিম ও সাধারণ জনতা তাকলীদ করতে হচ্ছে। এ যুগে নতুন কোন ইজতিহাদ হচ্ছে না। পূর্ববর্তী মুজতাহিদদের ফাতাওয়ার পূর্ণ অনুসরণ করা হচ্ছে। এ জন্য এ যুগকে বলা হয় একান্ত তাকলীদের যুগ। তবে এ যুগে অনেক ফাতওয়ার কিতাব রচিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।

ফিকহ্-এর ইমাম: যে সকল মুজতাহিদ ও ফিক্হবিদের অক্লান্ত সাধনার ফলে ফিকহ শাস্ত্রাকারে সংকলিত হয় তাঁদের মধ্যে প্রধান হচ্ছেন- চার জন 

  1.  ইমাম আবু হানিফা (র) (ইরাক : মৃত্যু ১৫০ হি.), 
  2.  ইমাম মালিক (র) (মদিনা : মৃত্যু ১৭৯ হি.), 
  3. ইমাম শাফিঈ (র) (মক্কা: মৃত্যু ২০৪ হি.) এবং 
  4.  ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) (ইরাক : মৃত্যু ২৪১ হি.)। 

 

ইমাম আবু হানিফার (র) দু'জন শিষ্য- ইমাম আবু ইউসুফ (র) ও ইমাম মুহাম্মদ (র) ফিকহ শাস্ত্রবিদ হিসেবে বিশেষ খ্যাত ছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Prabal Dey

Call

১ম হিজরি সাল হতে ১০ম হিজরি সাল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বৈদেশিক মুদ্রার মুজুদ করাকে রিজার্ভ বলে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ