ফিকহ শব্দের আভিধানিক অর্থ বুদ্ধিবৃত্তি, প্রজ্ঞা, গভীর জ্ঞান ও সূক্ষ্মদর্শিতা। ইসলামী পরিভাষায় শরীআতের ব্যুৎপন্ন ও অভিজ্ঞ আলেমদের কুরআন ও সুন্নাহর আলােকে গভীর গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্রকে ফিক্হ শাস্ত্র বলে। এক কথায় বিশদ প্রমাণাদি সহকারে ব্যবহারিক জীবনের কর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে শরীআতের বিধানসমূহ (আহকাম) সম্পর্কে গভীর জ্ঞানকে ফিক্হ বলে। আর যে শাস্ত্রে মুসলমানদের ব্যবহারিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত শরীআতের বিধি-বিধান ইত্যাদি খুঁটিনাটি আলােচিত হয় তাকে ইলমুল ফিক্হ' বলে।
মহান আল্লাহ মানব জীবন পরিচালনার জন্য মানব প্রকৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জীবন ব্যবস্থা প্রদান করেছেন। ফিক্হ শাস্ত্র হচ্ছে ইসলামী আইন বিজ্ঞান। এর সকল বিধি-বিধান কুরআন ও সুন্নাহ থেকে উৎসারিত। মহানবীর (স) জীবদ্দশায়ই এর মৌল কাঠামাে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে যুগ জিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে মুসলিম মনষীদের গবেষণায় এটি ইলমে ফিকহ বা ফিকহ শাস্ত্র বা '
হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষ দিকে অনেক মুসলিম মনীষী কুরআন ও হাদিসের ওপর গবেষণা চালিয়ে তা থেকে জীবন যাপনের বাস্তব কর্মপন্থা বের করার চেষ্টা করেন। তাদের গবেষণার ফল হচ্ছে ফিক্হ শাস্ত্র বা আইন-বিজ্ঞান।