শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

ইজমা শরীআতের তৃতীয় উৎস। আর এটা তৃতীয় উৎস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর যুগ থেকেই। ইসলাম কালজয়ী আদর্শ, সময়ােপযােগী জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সকল প্রকার সমস্যার সমাধান পেশ করেছে। রাসূল (স)-এর যুগেও কোন সমস্যার সমাধান কুরআনের মধ্যে না পাওয়া গেলে রাসূল (স) বিশিষ্ট সাহাবাগণের সাথে পরামর্শ করে তার সমাধান দিতেন। আর এ ব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ তাে আছেই।

“তাঁদের কাজকর্ম সমাপন হয় তাদের মধ্যকার পরস্পরের পরামর্শের ভিত্তিতে।”

উদাহরণ : রাসূল (স) উহুদ যুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাহাবাগণের সকলের ইচ্ছায় গুরুত্ব প্রদান করলে রাসূল (স) উহুদে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

খােলাফায়ে রাশেদার যুগে : খােলাফায়ে রাশেদার আমলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিসীমা বিস্তৃতি লাভ করলে নানাজাতি গােষ্ঠীর সাথে ইসলামের পরিচয় ঘটে। ফলে নানা সমস্যারও উদ্ভব হয়। তখন উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য ইসলামী চিন্তাবিদগণ ঐকমত্য পােষণ করে ঐ সমস্যার সঠিক সমাধান বের করেন। হযরত ওমর (রা) নানাবিষয়ে ইজমার মাধ্যমে সমাধান দিয়েছেন। খােলাফায়ে রাশেদার অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানগণও ইজমার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান দিতেন। সাহাবীদের জীবনে বহু ইজমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তারাও যে সকল বিষয়ে কুরআন ও হাদীস দ্বারা সমাধান দিতে পারেননি, সেসব বিষয়ে ইজমা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

উদাহরণ : হযরত ওমর (রা)-এর আমলে রমযান মাসের বিশ রাকআত তারাবীর নামায জামাতের সাথে আদায়

জনিত সমস্যার সমাধানটি উল্লেখ করা যেতে পারে।তাবিঈগণও কোন সমস্যার সমাধানে সরাসরি কুরআন ও হাদীসের সাহায্য পেতে ব্যর্থ হলে কুরআন ও  হাদীসেরসাহায্য নিয়ে ইজমা করতেন।

 বর্তমান যুগে ইজমা : বর্তমান যুগেও ইজমা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ ব্যাপারে সকল আলিম একমত পােষণ করেছেন।

 উদাহরণ : পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে ইয়াহুদীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে মুসলমানগণ ইজমার মাধ্যমে ঐকমত্য পােষণ করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ