গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। প্রোজেস্টেরন হরমোনের কারণে মায়েদের শরীরের পেশীগুলো শিথীল হয়ে পড়ে। যেহেতু পরিপাকতন্ত্রের পেশিগুলোও শিথীল হয়ে পড়ে, ফলে মায়েদের খাবার হজম ধীরে হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় গর্ভজাত শিশুসহ জরায়ুর বৃহদন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এ সময় বেড়ে যায়। আবার অনুপযুক্ত খাবার গ্রহণ কিংবা প্রয়োজন মতো পানি পান না করার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ সময় প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রমের অভাবেও সমস্যাটি বেড়ে যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থার জন্য ওজন ও আয়তনে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জরায়ু বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ে চাপ সৃষ্টি করার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। গর্ভের পূর্বে জরায়ুর দৈর্ঘ্য ৭.৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৫০ গ্রাম থাকে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পূর্ণ বিকশিত জরায়ুর দৈর্ঘ্য ৩৫ সেন্টিমিটার ও ওজন ৯০০ গ্রাম হয়ে যায়।
এছাড়াও খাদ্যে আঁশের স্বল্পতা, পানি কম খাওয়া, দুগ্ধজাত খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়া, খাদ্যাভ্যাসের বারবার পরিবর্তনশীলতা, পরিপাকতন্ত্রের স্নায়ু ও মাংসপেশির সমস্যা (হাইপোমোবিলিটি), মলত্যাগের চাপ চেপে রাখার প্রবণতা, দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
কখনও কখনও গর্ভাবস্থায় আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এ সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত। যদি বেশী সমস্যা হয় তবে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আয়রন সাপ্লিমেন্ট পরিবর্তন করা যেতে পারে।