শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

খিঁচুনি বা এক্লাম্পশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রেগনেন্সির সাধারণ সমস্যার মত মনে হতে পারে বলে তা বোঝা সম্ভব হয়না। এজন্য চিকিৎসকের সাহায্য প্রয়োজন। চিকিৎসক ব্লাড প্রেশার মাপবেন এবং ইউরিন টেস্ট করতে দেবেন। যদি ব্লাড প্রেশার বেশি দেখা যায় এবং প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি দেখা যায় তাহলে আপনার প্রিএকলাম্পসিয়া নির্নয় হবে।

যদি আপনার সিস্টোলিক রক্ত চাপ ১৪০ বা তার বেশি হয় এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৯০ বা এর বেশি হয় তাহলে ডাক্তার আরো কিছু পরীক্ষা করাতে দেবেন। গর্ভাবস্থায় ব্লাড প্রেশার উঠানামা করতে পারে বলে ব্লাড প্রেশার শুধু একবার মাপাই যথেষ্ট নয়।

কিছু নারীর ক্ষেত্রে খিঁচুনির আরো কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যাকে HELP সিনড্রোম বলে। এতে লাল রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যায় যাকে হেমোলাইসিস বলে। যকৃতের এনজাইম বৃদ্ধি পায় এবং প্লাটিলেট কমে যায়, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

একবার খিঁচুনির লক্ষণ দেখা গেলে পর্যায়ক্রমে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

খিঁচুনির লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে যে একলাম্পসিয়া আসন্ন। এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই খিঁচুনি আসতে পারে যা মা ও গর্ভের শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক সংকটের সৃষ্টি করতে পারে। এ সময় যদি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে মৃত্যু প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। তাই বিপদ জনক উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণের ঔষধ সেবন করতে পরামর্শ দেবেন ডাক্তার।

একলামম্পসিয়ার রোগীর সন্তানের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। কারণ বার বার খিঁচুনি হলে গর্ভস্থ শিশুর দেহে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না বলে অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভোগে শিশু। এছাড়াও খিঁচুনি বন্ধ করার জন্য যে সব ঔষধ দেয়া হয় তার জন্যও  শিশুর মৃত্যু হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ