শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

খিঁচুনি বা এর পূর্ব লক্ষণ দেখা দিলে যা করার পরামর্শ দেয়া হয় :  গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহে বা এর পরে যদি হালকা প্রিএকলাম্পসিয়া দেখা যায় এবং আপনার ও আপনার গর্ভের শিশুর অবস্থা যদি খারাপ মনে হয় তাহলে সিজার করার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক।    

আর যদি ৩৭ সপ্তাহ না হয় এবং আপনার ও সন্তানের অবস্থাও স্থিতিশীল থাকে তাহলে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেবেন চিকিৎসক নাহয় বাসায় থাকলেও সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দেবেন এবং নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপার নির্দেশনা দেবেন। আপনাকে সনোগ্রাম করানোর পরামর্শ দেয়া হবে এবং শিশুর  নড়াচড়া গণনা করার ও নির্দেশনা দেয়া হবে। যদি ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায় ও শিশুর নড়াচড়া কমে যায় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং ডেলিভারি করানোর প্রয়োজন হবে।         

যদি আপনার তীব্র খিঁচুনি লক্ষণ দেখা যায় তাহলে আপনাকে হাসপাতালেই  ভর্তি হয়ে থাকতে হবে এবং হাই-রিস্ক প্রেগনেন্সি স্পেশিয়ালিস্ট আপনাকে পর্যবেক্ষণে   রাখবেন। আপনার শিরায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইনজেকশন দেয়া হবে খিঁচুনি প্রতিরোধের জন্য। সেই সাথে উচ্চ রক্ত চাপ যদি অনেক বেশি থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ও ঔষধ সেবন করতে দেবেন।    

ডেলিভারির পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি ব্লাড প্রেশার বেশি থাকে তাহলে আপনার শিরায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইনজেকশন দেয়া হবে খিঁচুনি প্রতিরোধের জন্য। আপনাকে বাসায় এসেও বেশ কিছুদিন হাই ব্লাড প্রেশারের ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেয়া হবে।    

এক্লাম্পশিয়া একটি মারাত্মক সমস্যা। তাই পরিবারের সবাইকে এই রোগের ব্যাপারে সচেতন করুন এবং আপনার পাশের বাড়ীর লোকজনদের কেও আগে ভাগেই জানিয়ে রাখুন এক্লাম্পসিয়া’র ব্যাপারে, যদি সেই পরিবারে কেও গর্ভবতী হয়ে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ