Jobedali

Call

যদিও বেশীরভাগ সময়েই প্রসব ত্বরান্বিত করার পদ্ধতি গ্রহণ করা একদমই নিরাপদ একটা ব্যাপার, তবুও এর মধ্যে কিছু ঝুঁকি থেকেই যায়। তবে এই ঝুঁকি এবং তার মাত্রা সম্পূর্ণ নির্ভর করে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অবস্থা এবং কি পন্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তার উপর।    

অক্সিটোসিন, প্রোস্টাগ্লান্ডিন্স অথবা নিপল স্টিমুলেশন (পরবর্তীতে নিচে ব্যাখ্যা করা হবে এ সম্পর্কে) এর মাধ্যমেই সাধারণত যে কন্ট্রাকশন হয় তা খুব ঘন ঘন হতে পারে অথবা অস্বাভাবিক ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে এবং তীব্র ভাবে হয়। এর কারণে আপনার শিশুর উপরেও চাপ পড়তে পারে।       

খুব বিরল হলেও কখনো কখনো প্রোস্টাগ্লান্ডিন্স অথবা অক্সিটসিন এর জন্য প্লাসেন্টা জরায়ু থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে (প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন)  অথবা জরায়ু ছিঁড়ে ধরতে পারে। যদিও যে সব নারীদের ইতোপূর্বে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়নি অথবা জরায়ুতে কোন অপারেশন হয়নি তাদের মধ্যে জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়াটা খুবই বিরল ঘটনা।    

মাইসোপ্রস্টল নামের যে প্রস্টাগ্লান্ডিন্স ব্যাবহার করা হয় তা ব্যাবহার করা হলে, যে নারীদের ইতোপূর্বে সিজার হয়েছে এবং এখন স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে আগ্রহী তারা জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।    

এছাড়া কোন ধরণের আঘাতপ্রাপ্ত বা অপারেশন করা জরায়ুর ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধ ব্যাবহার করার একদমই উচিৎ নয়। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে পূর্বে সিজার করা নারীরা যদি বর্তমানে স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে আগ্রহী হয় তাহলে অক্সিটসিনও ব্যবহার করা উচিৎ নয়।    

প্রসবের সময় হওয়া সংকোচনের মাত্রা এবং সময়ের সাথে সাথে শিশুর হৃদকম্পন পরীক্ষা করার জন্য ইনডিউসিং লেবার পদ্ধতি গ্রহণের সময় ইলেক্ট্রনিক ফেটাল মনিটরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হবে । এই পরীক্ষা করার সময়ে আপনাকে হয়ত একদম স্থির হয়ে শুয়ে অথবা বসে  থাকতে হতে পারে।    

তবে এখনকার কোন হাসপাতাল টেলিমেট্রি পদ্ধতিতেও এটা পরীক্ষা করে থাকে, এই পরীক্ষার সময়ে আপনি হাঁটাহাঁটিও করতে পারবেন।    

কৃত্রিম উপায়ে প্রসব শুরু করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরেও হতে পারে, বিশেষ করে যদি এই প্রক্রিয়া শুরু হয় আপনার সার্ভিক্স  পরিপক্ব করার মাধ্যমে। আর মনে রাখবেন এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া আপনার এবং আপনার সঙ্গীর উপর বিশেষ মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে (তবে অপরদিকে প্রসবের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করা নারীদের যখন নির্ধারিত সময় পার হয়ে যায় তখন হয়ত এর থেকেও বেশি মানসিক চাপে তারা ভুগেন)।    

যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করা ইন্ডাকশন কোন কারণে কাজ না করে তবে ডাক্তার হয়তো আপনাকে আরেকটু অপেক্ষা করতে বলতে পারেন, এটা দেখার জন্য যে প্রসব নিজ থেকেই শুরু হয় কি না। কিন্তু জরুরী কোন মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে করা ইন্ডাকশন যদি কাজ না করে তাহলে হয়তো দ্রুত সিজার করা প্রয়োজন হতে পারে।    দীর্ঘ সময় প্রসবের জন্য অপেক্ষা করার পর অথবা ইনডিউসিং লেবর পদ্ধতি অনুসরণ করার পরেও যখন আপনি সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে একটু বেশি জটিলটা সৃষ্টি হতে পারে, যে জটিলটা আপনি যদি আগে থেকেই সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিতেন  তাহলে হয়ত হত না।       

মনে রাখবেন, আপনার ডাক্তার তখনই আপনাকে ইনডিউসিং লেবার পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলবেন যখন তিনি দেখবেন স্বাভাবিক পর্যায়ে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাটা আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ