Jobedali

Call

শিশু জন্মদান বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসবের পক্ষে ততটা ভাল কোন প্রমান নেই। ‘প্রসব বেদনা তরান্বিত করার জন্য হোম মেইড কোন পদ্ধতি নেই যা শতভাগ নিশ্চয়তাসহ কাজ করে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে দেয়া ঔষধই বেশি কার্যকর ও নিরাপদ। বাদবাকি বেশিরভাগ টেকনিক-ই গুজব এবং কখনো কখনো মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ।

নিচে বর্ণিত পদ্ধতিগুলোতে শিশুজন্মদান বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এর কারণ হলো, হয় এসব পদ্ধতির পক্ষে ততটা শক্ত কোন প্রমাণ নেই, অথবা এগুলোতে ঝুঁকি জড়িত। যাই হোক না কেন, এ ধরনের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তার বা মিডওয়াইফের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।

আকুপাংচারের সাহায্য প্রসব বেদনা:

সম্ভবত আকুপাংচার প্রসব বেদনা তরান্বিত করে, তবে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আকুপাংচার হচ্ছে দেহের বিভিন্ন আকু-বিন্দুতে ইনেজকশনের সুচের চেয়েও বড় বিশেষ এক ধরনের পিন ভেদ করিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেখে চিকিৎসা করা। শত শত বছর ধরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মুহুর্তেই প্রসববেদনা ওঠানোর জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা’র একটা ছোট গবেষনায় দেখা গেছে যেসব মহিলা আকুপাংচার চিকিৎসা নেন তাদের ঔষধের সাহায্য ছাড়াই প্রসব বেদনা ওঠার সম্ভাবনা বেশি।গবেষকদের একজন বলেন, ‌’আকুপাংচার দেয়ার ফলে সিজারিয়ান হবার হার ৫০% পর্যন্ত কমে এসেছে, তবে এখনো ততটা নিশ্চয়তাসহ বলা যাচ্ছে না। বরং এ বিষয়ে আরো গবেষণা দরকার’।

দীর্ঘ হাটাহাটি:

হার্পার নামের একজন ডাক্তার বলেন, “লম্বা হাটাহাটি ভাল ব্যায়াম, তবে আমি মনে করি না এটা প্রসব বেদনায় কোন সাহায্য করে”। এলিজাবেথ স্টেইন অবশ্য বেশ কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবিষয়ে, “অল্প হাটাহাটি ভালো, তবে ক্লান্তিকর লম্বা হাটাহাটির ভক্ত আমি নই। ক্লান্ত হয়ে প্রসববেদনা আনা মনেহয় ভাল চিন্তা না”।

ঝাল খাবার:

খুব ঝাঝালো ঝাল খাবার খেয়ে প্রসব বেদনা আনা বেশ জনপ্রিয় ধারণা। তবে এটা জেনে রাখুন জরায়ু ও পাকস্থলির মাঝে সরাসরি কোন যোগসুত্র নেই। তাই এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে কোন বিশেষ খাবার পেটে সংকোচন ( contraction) নিয়ে আসবে। হার্পার জানান এধরনের কোন ঘটনা বা প্রমান তিনি কখনো দেখেন নি।

ক্যাস্টর অয়েল

ড. স্টেইন অনেকটা অনিচ্ছুকভাবেই এই তেলের কথা বলেন। ৩৮ সপ্তাহ পর দৈনিক খুব অল্প পরিমানে এই তেল গ্রহণ করা যেতে পারে। ‘রেড়ীর তেল সরাসরি জরায়ুতে কোন প্রভাব ফেলে না, বরং এটা অন্ত্রে উদ্দীপনা যোগায় যা জরায়ুতে প্রভাব ফেলে’। তবে এটা তখনই হয় যখন শরীর প্রসবের জন্য তৈরি হয়। ড. হার্পার অবশ্য এটা কোনভাবেই সমর্থন করেন না, ‘ক্যাস্টর তেলে বরং মারাত্নক ডায়রিয়া হয় এবং এর ফলে মা’র শরীরে পানির অভাব হতে পারে। তাই আমি এর পক্ষে নেই”।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ