হ্যা বিবাহের পর আপনি আপনার স্বামীর পাশাপাশি শ্বশুর শ্বাশুড়ী, ননদ, দেবর, সন্তান সন্তনী সবাইকেই ভালোবাসবেন এতে গুনাহের কিছু নেই। আর আপনি যদি অন্য কোন পর পুরুষের কথা বলে থাকেন তাহলে সেটা অন্য কথা। আর আপনি যেহেতু আপনার স্বামী ব্যতীত অন্য কাউকে ভালোইভবাসবেন তাহলে আপনি তাকে বিয়ে করলেন ই বা কেন? আর আপনি স্বামী সন্তান রেখে অন্য কারো ভালোবাসায় জড়িয়ে যাবেন সেটা মোটেই জায়েদ নয় তখন সেটা হয়ে যাবে পরকীয়া। পরকীয়া ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। এটা অবশ্যই গুনাহ এর কাজ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
বিবাহের পর কোনো পর-পুরুষের সাথে সম্পর্ক করলে তা গুনাহ হবে । স্বামীর কথা সর্বদাই পালন করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসলামের বিরধী কথা বলবেন না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো পর নারীর দিকে না তাকানই উত্তম। আপনি যদি মেয়ে হন তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বামীর কথা মতো চলতে হবে এবং উনাকে খুশি করতে আপনার সর্বদা চেষ্টা করতে হবে।
যুগল প্রেম ইসলাম সমর্থন করে না হোক সেটা বিবাহ আগে বা পরে|তবে বিবাহের পরে স্বামীর সাথে ঘনিষ্ট প্রেম করা জায়েজ ও উত্তম|কোন পর পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রাখা যাবে না| এটা ইসলাম কিংবা সমাজ ও গ্রহণ করে না|বিশেষ করে বিবাহিত দের এ ধরণের কাজ থেকে দুরে থাকা শ্রেয়|প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো পরকিয়ার কাতারে পড়ে| আর বিবাহিতরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে তিনটি পরিবারে চরম দূর্বিসহ নেমে আসে|তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে কোন অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো উচিত নয়|
অন্যের সাথে বিবাহের আগে কিংবা পরে সব সময়ই হারাম। কেননা হাদিসে আছে, রাসূল (সা) বলেছেন, হে আলী! যখন কোন নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়ে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবে। কেননা প্রথম দৃষ্টি তোমার আর দ্বিতীয় দৃষ্টি শয়তানের। (আবু দাউদ) এখানে একবারই দৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। আপনি যখন কারো সম্পর্ক স্থাপন করবেন, তখন তো একবার নয় হাজার বার দৃষ্টি দিবেন। এমনকি কামনার দৃষ্টিতেও তাকাতে পারেন। হয়তো এক সময় শয়তানের ধোঁকায় পড়ে জেনাও করলেন। ভাই, এমনটা অহরহ হচ্ছে। দয়া করে, অন্যের সাথে প্রেম ভালবাসা করবেন। স্ত্রীর সাথে করুন, দেখবেন সুখ আর সুখ। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।