রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১১)
সুতরাং আজানের জবাব দেয়া সুন্নত। কেউ যদি বিনা অজুরে সুন্নত ত্যাগ করে তাহলে গুনাহ হবে।
যারা আজানের জবাব দেবে না : নামাজ আদায়কারী, পানাহার অবস্থায়, ইস্তিঞ্জাকারী, স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত, মহিলাদের ঋতুকালীন ইত্যাদি সময়। তবে অনেক আলেমের মতে আজানের পরক্ষণেই যদি উল্লিখিত কাজ থেকে অবসর হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আজানের জবাব দিয়ে দেওয়া উত্তম। কোরআন তিলাওয়াতকারী তিলাওয়াত সাময়িক বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৯৭)
আজানের সময় দুনিয়াবি কথা ও কাজে লিপ্ত থাকা : আজানের সময় চুপ থাকা সুন্নত। একান্ত প্রয়োজন না হলে সাধারণ দ্বিনি ও দুনিয়াবি কথা বা কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত।
উপরোক্ত রেফারেন্স অনুযায়ী স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে আজানের সময় প্রস্রাব করা গোনাহের কাজ। অর্থাৎ জায়েয নেই। তবে যদি প্রস্রাব /পায়খানা করা অবস্থায় আজান দিয়ে দেয় তাহলে গোনাহ হবে না। আজানের জবাবও তাকে দিতে হবে না।
ফাজায়েলে আমল কিতাবে এ ব্যাপারে একটি মাসায়ালা আছে এ বিষয়ে, তা হলো আজানের সময় প্রসাব পায়খানা করা যাবে না, এ ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে তবে যদি নামাজের জামাআত হারানোর ভয় থাকে তবে আজানের সময় এ জরুরত সারানো যাবে।
তবে আজানের সময় অতিব প্রয়োজন না হলে দুনিয়াবি সব ধরনের কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত। উল্লেখ্য, একান্ত প্রয়োজন বা অতি বেগ না হলে আজানের সময় প্রসাব করতে যাওয়া উচিত নয়।