লিথিয়াম, পানি, খাবার লবন, চক, কার্বন, চুন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, অক্সিজেন, আয়ােডাইড, লােহা, ক্লোরিন ইত্যাদি কিছু পদার্থ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

লিথিয়াম, পানি, খাবার লবন, চক, কার্বন, চুন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, অক্সিজেন, আয়ােডাইড, লােহা, ক্লোরিন ইত্যাদি কিছু পদার্থ 

কাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় , কারণ বিশ্লেষণ করা হলো:



দুই বা ততোধিক পদার্থের এমন মিশ্রন যেখানে পদার্থ গুলির নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় রেখে একসাথে সূক্ষ্মভাবে মিশিয়ে একটি শর্ত এবং একটি মাত্র দশাসম্পূর্ণ মিশ্রণ উৎপন্ন করে তাকে দ্রবন বলে।মিশ্রণে যে উপাদানটি ভৌত অবস্থা উৎপন্ন দ্রবণটির ভৌত অবস্থা নির্ধারণ করে তাকে দ্রাবক বলে।সহজ ভাষায় যেসব পদার্থ অন্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে দ্রাবক বলে।


আর কোন পদার্থ যদি অজৈব ও জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করে, তবে তাকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।


উল্লেখিত পদার্থগুলোর মধ্যে পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়। কেননা এটি অধিকাংশ অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। 


খাবার লবণ, 

ফিটকিরি প্রভৃতি অজৈব পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবীভূত হয় । তাছাড়া পোলারিটি সম্পন্ন জৈব যৌগ সমূহ কে্ও পানি দ্রবীভূত করতে সক্ষম। 


চিনি, ভিনেগার, স্পিরিট, ভিটামিন সি, গ্লুকোজ প্রভৃতি জৈব পদার্থ পানিতে সহজেই দ্রবীভূত হয়। এই কারণে একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উদ্দীপকের পদার্থ গুলোর মধে পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে।

যেসব পদার্থ অন্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে দ্রাবক বলে। আর কোনো পদার্থ যদি অজৈব ও জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করে, তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়। পানি একটি অজৈব যৌগ। পানিতে ধনাত্মক-ঋণাত্মক প্রান্ত অর্থাৎ পোলারিটি রয়েছে। পোলারিটি থাকার কারণে এটি অন্য পোলার যৌগ সমূহকে দ্রবীভূত করতে পারে। ফলে বেশিরভাগ অজৈব যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়। তাছাড়া যেসব জৈব যৌগে পোলারিটি রয়েছে এরাও সহজে পানিতে দ্রবীভূত হয়। পানি জৈব ও অজৈব উভয় ধরনের যৌগকে দ্রবীভূত করে বলে একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

সাধারণত যেসকল পদার্থ অন্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে দ্রাবক বলে।
পানি একটি পোলার অণু। অর্থাৎ পানির একপ্রান্তে থাকে পজিটিভ চার্জ এবং অন্যপ্রান্তে থাকে নেগেটিভ চার্জ।

যেমনঃ পানির সংকেত H2O ; H+ হচ্ছে পজিটিভ প্রান্ত এবং OH– হচ্ছে নেগেটিভ প্রান্ত।
ফলে যেকোনো পদার্থের পজিটিভ প্রান্তের সাথে পানির নেগেটিভ (OH–) এবং পদার্থের নেগেটিভ প্রান্তের সাথে পানির পজিটিভ প্রান্ত (H+) মিলে যৌগ গঠন করে। অর্থাৎ, তখন যৌগটি পানিতে দ্রবীভূত হয়।
পানির এই পোলারিটির কারণে অধিকাংশ অজৈব যৌগ-ই পানিতে দ্রবীভূত হয়। তাছাড়া, যেসকল জৈব যৌগে পোলারিটি রয়েছে তারাও পানিতে দ্রবীভূত হয়।
অর্থাৎ, পানি জৈব ও অজৈব অধিকাংশ যৌগকেই দ্রবীভূত করতে পারে।
এজন্যই পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
©



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ