মৌল |
পারমানবিক সংখ্যা |
ভর সংখ্যা |
X |
১৭ |
৩৫ |
Y |
১১ |
২৩ |
Z |
৬ |
১৪ |
X ও Y মৌল দুটির পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ১৭ ও ১১। ১৭ ও ১১ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌল দুটি যথাক্রমে ক্লোরিণ ও সােডিয়াম। মৌল দুটি দ্বারা যে যৌগ গঠিত হয় তা বিশ্লেষণ করা
হলাে।
সােডিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন সংখ্যা ১১। তাই ইলেকট্রন সংখ্যাও ১১। এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,১ হতে দেখা যায় শেষ কক্ষপথে ১ টি ইলেকট্রন রয়েছে, যা ত্যাগ করলে নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়নের অনুরূপ ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮ অর্জন করে। এবং এ অবস্থায় সােডিয়াম যথেষ্ট স্থিতিশীলতা অর্জন করে। একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na+ আয়নে রূপান্তরিত হয় এবং Na+ কে ক্যাটায়ন বলে।
ইলেকট্রন ত্যাগ: Na →Na+ + e-
ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন সংখ্যা ১৭ ।তাই ইলেকট্রন সংখ্যাও ১৭। এবং Cl এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,৭ হতে দেখা যায় শেষ কক্ষপথে ৭ টি ইলেকট্রন রয়েছে, তাই একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করলে নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের অনুরূপ ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,৮ অর্জন করে। এবং এ অবস্থায় ক্লোরিণ যথেষ্ট স্থিতিশীলতা অর্জন করে। একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl- আয়নে রূপান্তরিত হয় এবং Cl-
কে অ্যানায়ন বলে।
ইলেকট্রন গ্রহণ: Cl + e→Cl-
এই বিপরীত আয়নদ্বয় Na+ ও cl- পরস্পরকে আকর্ষণ করে NaCl উৎপন্ন করে।
Na+ + Cl- →NaCl
এই যৌগ গঠন প্রক্রিয়ার নাম আয়নিক বন্ধন। ফলে NaCl যৌগটি আয়নিক যৌগ।
X ও Y মৌল দুটি দ্বারা আয়নিক যৌগ গঠন করা সম্ভব।
©