আমাদের গলার ভেতরে যে ছোট্ট আলজিভ রয়েছে, সম্ভবত অনেকেই তা খেয়াল করে দেখেন না। কিছু তত্ত্বে উল্লেখ রয়েছে, আলজিভ কেবল মানুষের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হয় এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের কথা বলতে ও জলখাবার খেতে সাহায্য করেছিল। এটি নাক ডাকায়ও যুক্ত হতে পারে। ইতালির একটি গবেষণা অনুযায়ী, যারা কম নাক ডাকেন তাদের নাকের সঙ্গে আলজিভের কম স্নায়ু ফাইবার ছিল। তাছাড়া খাবার গ্রহনের সময় খাবার নাসা গহ্বরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গরম পানি ১০০% কার্যকরঃ
০১. মাইগ্রেন
০২. উচ্চ রক্তচাপ
০৩. নিম্ন রক্তচাপ
০৪. জয়েন্ট এর ব্যথা
০৫. হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস
০৭. কোলেস্টেরলের মাত্রা
০৮. কাশি
০৯. শারীরিক অস্বস্তি
১০. গাটের ব্যথা
১১. হাঁপানি
১২. শিরায় বাধা
১৩. জরায়ু ও মূত্র সম্পর্কিত রোগ
১৪. পেটের সমস্যা
১৫. ক্ষুধার সমস্যা
১৬. মাথা ব্যথা
*কীভাবে গরম পানি পান করবেন?*
নিয়মিত রাত ১০-১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রায় ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে, প্রথম দিকে ২ গ্লাস পানি পান করতে সক্ষম নাও হতে পারে কেউ তবে আস্তে আস্তে এটি করতে পারবে।
*বিঃদ্রঃ: গরম পানি পান করার পরে ৪৫ মিনিট কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না।*
গরম পানি থেরাপি যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সমাধান করবে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো : -
৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস
৩০ দিনের মধ্যে রক্তচাপ
১০ দিনের মধ্যে পেটের সমস্যা
০৯ মাসের মধ্যে সমস্ত ধরণের ক্যান্সার
০৬ মাসের মধ্যে শিরার বাধার সমস্যা
১০ দিনের মধ্যে ক্ষুধা জাতীয় সমস্যা
১০ দিনের মধ্যে জরায়ু এবং এর সম্পর্কিত রোগগুলি
১০ দিনের মধ্যে নাক, কান এবং গলার সমস্যা
১৫ দিনের মধ্যে মহিলাদের সমস্যা
৩০ দিনের মধ্যে হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা
০৩ দিনর মধ্যে মাথা ব্যাথা / মাইগ্রেন সমস্যা
০৪ মাসের মধ্যে কোলেস্টেরল সমস্যা
০৯ মাসের মধ্যে মৃগী এবং পক্ষাঘাত সমস্যা
০৪ মাসের মধ্যে হাঁপানি সমস্যা
*ঠান্ডা পানি পান করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে! যদি অল্প বয়সে ঠাণ্ডা পানি প্রভাবিত না করে, তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই।*
*ঠান্ডা পানি হার্টের ৪টি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হ'ল কোল্ড ড্রিঙ্কস।
*এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে। এটি লিভারের সাথে ফ্যাট আটকে রাখে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠান্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন।
*ঠান্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেয়ালকে প্রভাবিত করে। এটি বৃহত অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারে রুপ নেয়।
©
0 likes | 1630 views
প্রথমত, পানির কাজ আমাদের দেহে ক্যালরি (এনার্জি) প্রভাইড করা নয়, বত্ব পানির কাজ হচ্ছে ক্যালরি যোগান দেয়া কম্পাউন্ডগুলো কোলে-কাঁখে নিয়ে দেহের আনাচে কানাচে পৌছে দেয়া।
আমরা যখন কোন কাজ বা পরিশ্রম করি, তখন আমাদের মাংসপেশীগুলো বার বার সংকুচিত প্রসারিত হতে থাকে। এই পেশীগুলোকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন হয় অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেনের সাপ্লাই। এই অক্সিজেন প্রভাইড করে রক্ত, আর রক্তেরসের ৯০ ভাগই হচ্ছে পানি। পানি নাই মানে রক্তের কাজও শিথিল, তার মানে অক্সিজেনের সাপ্লাই নাই। যার ফলে কোন অঙ্গই ঠিকভাবে কাজ আগাতে পারছে না। গাধাকে খাইতে না দিলে গাধা কিভাবে খাটবে!
টায়ার্ড অবস্থায় পানি খেলে ৩ ভাবে আমাদের টায়ার্ডনেস দূর হওয়ার কথা আমরা বলতে পারি। (আরো বেশি আছে, কিন্তু এই ৩ টা বোঝা সহজ)
.
এক,
.
পানি পান করলে দেহে কোন এনার্জি বা ক্যালরি উৎপন্ন হয় না। বরং পানি খেলে পরিশ্রম করতে থাকা মাংসপেশিগুলোতে আরো বেশি-বেশি ব্লাড সাপ্লাই হয়, যার ফলে মাংসপেশীর ক্লান্তিটা একটু দূর হয়। এতে মাংসপেশী অবশিষ্ট ক্যালরিতে সর্বোচ্চ কাজটুকু করতে পারে। সাধ্যের মধ্যে.....সবটুকু সুখ।
.
দুই,
.
একই সঙ্গে আমাদের হাড়ের জয়েন্টে যেসব "সাইনোভিয়াল ফ্লুইড" থাকে, সেগুলোও ঠিকমত কাজ করতে পানির দরকার হয়। এই ফ্লুইডের কাজ হচ্ছে হাড়গুলোর ঘর্ষণ কমিয়ে স্মুদলি নাড়াতে সাহায্য করা। তাই টায়ার্ড অবস্থায় পানি পান করলে এই ফ্লুইড আরো স্মুদলি হাড় নাড়াতে সাহায্য করে। মজার ব্যপার এই ফ্লুইডকে কিন্তু নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়।
.
তিন,
.
এনার্জি উৎপন্ন করার জন্য দরকার যে গ্লুকোজ, এটিপি দরকার হয়, সেগুলোর হাইড্রোলাইজেশনের (Hydrolization) তো পানি ছাড়া সম্ভব নয়ই। আবার এগুলো পেশিতে পেশিতে পৌছানোর জন্যও সেই পানিই দরকার হয়।
.
সুতরাং পানি সরাসরি এনার্জি প্রডিউস করতে না পারলেও, পানি ছাড়া আপনার দেহে এনার্জি সাপ্লাই হবে না।
.
পানি খেলে আমরা এনার্জিটিক হই না, পানি খেলে কেবল টায়ার্ডনেস (ফ্যাটিগ) দূর হয়। দুটো সেম জিনিস নয়।
.
.
কিছু তথ্যসূত্র ফারদার স্টাডির জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
https://www.ausetute.com.au/hydrolysiscarbs.html
https://www.absopure.com/blog/4-ways-drinking-water-can-benefit-your-muscles
https://en.wikipedia.org/wiki/Synovial_fluid
https://en.wikipedia.org/wiki/Muscle_fatigue
মানুষ বেশি সুন্দর কোনো বস্তু কে সহ্য করতে পারেনা।অধিক সুন্দর কোনো জিনিস দেখলে,ডোপামিন এবং সেরেটনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার দুটির অস্বাভাবিক ক্ষরণের ফলে সৃষ্টি হওয়া প্রভাব,মানুষ সহ্য করতে পারেনা।ফলে,মানুষ সেই বস্তুটিকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়।উদহারণ স্বরূপ:-মিষ্টি বাচ্চার জোরে গাল টিপে ধরা অথবা গাছে,সুন্দর ফুল ফুঁটে থাকতে দেখলে,তাকে ছিঁড়ে ফেলা।একে,"cute aggression" বলা হয়।সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে,এর প্রবণতা বেশি হলেও,আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এর প্রভাব রয়েছে।অর্থাৎ,আমাদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কে একটি খুনির প্রভাব রয়েছে।
"মস্তিষ্ক হাইজ্যাককারী পরজীবীদের অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার উপাখ্যান"
কখনো কি ভেবেছেন একটা ছোট্ট পরজীবী আপনার মতো বড় প্রাণির মস্তিষ্ককে নিজের ইশারায় কাজ করাতে পারবে? অন্য সকলের মতো আমিও ভাবিনি, প্রথম এই বিষয়ে প্রথম জানতে পারি কয়েকবছর আগে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে সম্প্রচারিত একটা ডকুমেন্টারি অনুষ্ঠানে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের “Mind Suckers” নামক প্রবন্ধে কার্ল জিমার কিছু পরজীবীর আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেখা গেছে এ ধরণের পরজীবীর আক্রমণের ফলে পোষকের নিজস্ব ইচ্ছাশক্তি বিলুপ্ত হয়ে যায়, তারা তখন পরজীবীর নির্দেশনা মোতাবেক চালিত হয়।
প্রকৃতির অদ্ভুত আর মজার এই ঘটনার বেশ কিছু উদাহরণ নীচে দেওয়া হলো।
র্যাবিস ভাইরাস
আমরা জানি, র্যাবিস ভাইরাসের আক্রমণে জলাতঙ্ক রোগ হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করা না হলে এক পর্যায়ে এই ভাইরাস রোগীর মস্তিষ্ক দখল করে ফেলে এবং পানির প্রতি রোগীর আতঙ্ক তৈরি করে। এ সময় কিছু পান করতে গেলে বা পান করার কথা চিন্তা করলেই শুরু হতে পারে গলা আর স্বরযন্ত্রের পেশীতে ব্যথাময় খিঁচুনি। যেন কামড়ের মাধ্যমে আক্রান্তরা ভাইরাসটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে এজন্য আক্রান্তের লালাগ্রন্থিতে ভাইরাসটি বংশবৃদ্ধি করে। ফলে রোগী অতিরিক্ত লালা উৎপাদন শুরু করে। যদি আক্রান্তরা পানির সাহায্যে বা পানি ছাড়াই লালা গিলে ফেলতে সক্ষম হয়, তাহলে এই ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এজন্যেই ভাইরাসটি আক্রান্ত পশু বা মানুষকে পানির প্রতি আতঙ্কিত হতে বাধ্য করে।
প্লাজমোডিয়াম
ম্যালেরিয়ার জীবাণু হিসেবে পরিচিত Plasmodium পরজীবীটির প্রাথমিক পোষক হল মশা এবং মানবদেহ হল এর জীবনচক্র সম্পন্ন করার জন্য পরবর্তী পোষক। মশার বেঁচে থাকার জন্য রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু মানুষের রক্ত খেতে গেলে চড়, থাপ্পরের মাধ্যমে মশার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরকম হলে পরজীবীটি মানবদেহে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই মশার দেহে যখন এটি বর্ধনরত অবস্থায় থাকে, তখন এটি মশার কার্যকলাপের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। মশাকে বাধ্য করে স্বাভাবিকের চেয়ে কম সংখ্যক মানুষ খুঁজতে এবং রক্ত খাওয়ার মতো সুযোগ না পেলে বারবার চেষ্টা না করে দ্রুত উড়ে যেতে। কিন্তু পরিপক্ক হওয়ার পর এই পরজীবীই মশার আচরণকে উল্টোদিকে পরিচালিত করে। তখন মশা রক্ত খাওয়ার জন্য তৃষ্ণার্ত এবং জেদি হয়ে উঠে এবং প্রতি রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষ খোঁজা শুরু করে। রক্ত খেয়ে পেট ভর্তি থাকলেও বারবার কামড়াতে থাকে। এর ফলে যদি মানুষের হাতে মশার মৃত্যুও ঘটে, কোন সমস্যা নেই। কারণ ততক্ষণে পরজীবী মানুষের দেহে প্রবেশ করে ফেলেছে।
নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম
নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্মের (Spinochordodes tellinii) লার্ভা বেড়ে উঠে ঘাসফড়িঙ আর ঝিঁঝিঁ পোকার দেহে। লার্ভা থেকে বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর এই কীট ঘাসফড়িঙকে পানিতে লাফিয়ে পড়তে বাধ্য করে। ঘাসফড়িঙ পানিতে ডুবে গেলে পরজীবীটি পোষকদেহ হতে বেরিয়ে আসে এবং পানিতেই বসবাস আর বংশবৃদ্ধি শুরু করে। অবশ্য এই পরজীবী পোষককে পানির উৎস খুঁজে বের করতে বাধ্য করে না বরং কাছাকাছি পানির উৎস পেলে কেবলমাত্র তখনই পোষককে দিয়ে এই কাজ করায়।
ল্যান্সেট ফ্লুক
Formica fusca নামক পিঁপড়া যখন খাদ্য হিসেবে শামুকের সিস্ট গ্রহণ করে, তখন সেই সিস্টে উপস্থিত Lancet Fluke (Dicrocoelium dendriticum) নামক পরজীবী পিঁপড়ার অন্ত্রে প্রবেশ করে। কিছু পরজীবী স্নায়ুকোষে প্রবেশ করার মাধ্যমে পিঁপড়ার কার্যকলাপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বিকেলবেলা যখন ঠাণ্ডা বাতাস বয়, তখন আক্রান্ত পিঁপড়া দলছুট হয়ে ঘাসের ডগায় উঠে। সেখানে তার ম্যান্ডিবল দিয়ে ঘাসের চূড়া আঁকড়ে ধরে সে ভোর পর্যন্ত বসে থাকে। এরপর আবার কলোনিতে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসে। যদি দিনের বেলা পোষক পিঁপড়াটি সূর্যের তাপের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে, তাহলে পরজীবীসহ সেটা মারা যাবে। তাই রাতের পর রাত এভাবে ঘাসের ডগায় পিঁপড়াটি অপেক্ষা করতে থাকে যতদিন না পর্যন্ত কোনো পশু ঐ ঘাস খায়। পিঁপড়াসহ ঘাস খেলে পরজীবীটি উক্ত পশুর দেহে বেড়ে উঠে এবং বংশবৃদ্ধি করে।
টক্সোপ্লাজমা গন্ডি
Toxoplasma gondii নামক পরজীবীর প্রাথমিক পোষক হিসেবে কাজ করে ইঁদুর এবং ছুঁচো। এদের মস্তিষ্কে পরজীবীটি হাজার হাজার সিস্ট তৈরি করে। কিন্তু জীবনের পরবর্তী চক্র সম্পন্ন করার জন্য এর বিড়ালের অন্ত্রে প্রবেশ করা দরকার। বিড়াল যদি ইঁদুরকে ভক্ষণ করে, তাহলেই এই পরজীবী বিড়ালের অন্ত্রে প্রবেশ করে বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম হবে। তাই অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, আক্রান্ত ইঁদুর বিড়ালের প্রতি তার স্বাভাবিক ভয় হারিয়ে ফেলে। কিছু ইঁদুর আবার এক ডিগ্রী সরেস হয়ে বিড়ালমূত্রের গন্ধের প্রতি ধাবিত হয় এবং বিড়ালের শিকারে পরিণত হয়। এভাবে পরজীবীটি ইঁদুরকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিড়ালের অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং তার জীবনের পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করে।
সাক্কুলিনা কার্সিনি
ফিমেল Sacculina লার্ভা sheep crab নামক কাঁকড়ার দেহে প্রবেশের পর তার বক্ষদেশে ডিম পাড়ে। Sacculina-র প্রবেশের কারণে কাঁকড়ার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা, বর্ধন এবং আত্মরক্ষার জন্য claw পুনঃউৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফিমেল Sacculina যখন পুরুষ কাঁকড়ার দেহে বসতি গাড়ে, তখন সেটি কাঁকড়ার হরমোনাল ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। ফলে কাঁকড়ার প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, উদর স্ফীত হয়ে ফিমেল কাঁকড়ার মতো দৈহিক গড়ন দেখা দেয়। এমনকি সেটি ফিমেল কাঁকড়ার মতো আচরণও শুরু করে। যেহেতু পরজীবীর আক্রমণের ফলে কাঁকড়া (মেল বা ফিমেল – উভয়েই) প্রজননের জন্য অনুর্বর হয়ে পরে, তাই যখন Sacculina ডিম পাড়ে, আক্রান্ত কাঁকড়া ঐসব ডিমকে নিজের ডিমের মতো করেই যত্ন নিতে থাকে।
লিউকোক্লোরিডিয়াম প্যারাডক্সাম
Leucochloridium paradoxum নামক পরজীবীর মধ্যবর্তী পোষক হিসেবে কাজ করে শামুক জাতীয় প্রাণী। ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত Succinea নামক শামুকের চোখ আক্রমণ করে বসে এই পরজীবী। ফলে চোখগুলো হয়ে যায় সেসব শুঁয়োপোকার মতো যাদেরকে পাখিরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। পাখির দেহে প্রবেশের পর পরজীবীটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং ডিম পাড়ে পাখির মলাশয়ে। এই ডিম পরবর্তীতে মলের সাথে বেরিয়ে আসে এবং অন্য শামুকের খাদ্যে পরিণত হয়। এভাবে খুঁজে পায় নতুন হোস্ট।
Euhaplorchis californiensis
Killifish নামক এক ধরণের মাছ আছে যারা সাধারণত পানির উপরিভাগে আসে না। কারণ এতে করে শিকারি পাখির কবলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই মাছগুলোই যখন Euhaplorchis californiensis নামক ফ্লুক কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন বেশীরভাগ সময় পানির উপরিভাগে অবস্থান করে। মাঝে মাঝে পল্টি খায় যেন তাদের রুপালী পেট আলোতে ঝিলিক মারে। ফলে সুস্থ কিল্লিফিশের তুলনায় আক্রান্ত কিল্লিফিশরা পাখির শিকারে পরিণত হয় বেশী। এর একটাই কারণ।
কী?
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। পাখির অন্ত্র হল ফ্লুকের পরিপক্ক হওয়া এবং বংশবৃদ্ধি করার জায়গা!
Credit-নির্ঝর রুথ ঘোষ
0 likes | 1654 views
উদ্দীপকটি পড় ও নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও:
কোভিড-১৯ এর কারণে রনির স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেটি কোভিড কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত সপ্তাহে রনিদের পাশের বাড়িতে একজন কোভিড পজেটিভ রােগী সনাক্ত হয়।
পাড়া-প্রতিবেশিরা সবাই তাদের বাড়ির সাথে সব ধরনের যােগাযােগ বন্ধ করে দেয়ায় পরিবারটি চরম অসহায় পরিস্থিতিতে পড়ে। এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে এবং তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের এই দূর্ভোগ লাঘব করেন।