প্রথমত, পানির কাজ আমাদের দেহে ক্যালরি (এনার্জি) প্রভাইড করা নয়, বত্ব পানির কাজ হচ্ছে ক্যালরি যোগান দেয়া কম্পাউন্ডগুলো কোলে-কাঁখে নিয়ে দেহের আনাচে কানাচে পৌছে দেয়া।


আমরা যখন কোন কাজ বা পরিশ্রম করি, তখন আমাদের মাংসপেশীগুলো বার বার সংকুচিত প্রসারিত হতে থাকে। এই পেশীগুলোকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন হয় অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেনের সাপ্লাই। এই অক্সিজেন প্রভাইড করে রক্ত, আর রক্তেরসের ৯০ ভাগই হচ্ছে পানি। পানি নাই মানে রক্তের কাজও শিথিল, তার মানে অক্সিজেনের সাপ্লাই নাই। যার ফলে কোন অঙ্গই ঠিকভাবে কাজ আগাতে পারছে না। গাধাকে খাইতে না দিলে গাধা কিভাবে খাটবে!


টায়ার্ড অবস্থায় পানি খেলে ৩ ভাবে আমাদের টায়ার্ডনেস দূর হওয়ার কথা আমরা বলতে পারি। (আরো বেশি আছে, কিন্তু এই ৩ টা বোঝা সহজ)

.

এক,

.

পানি পান করলে দেহে কোন এনার্জি বা ক্যালরি উৎপন্ন হয় না। বরং পানি খেলে পরিশ্রম করতে থাকা মাংসপেশিগুলোতে আরো বেশি-বেশি ব্লাড সাপ্লাই হয়, যার ফলে মাংসপেশীর ক্লান্তিটা একটু দূর হয়। এতে মাংসপেশী অবশিষ্ট ক্যালরিতে সর্বোচ্চ কাজটুকু করতে পারে। সাধ্যের মধ্যে.....সবটুকু সুখ।

.

দুই,

.

একই সঙ্গে আমাদের হাড়ের জয়েন্টে যেসব "সাইনোভিয়াল ফ্লুইড" থাকে, সেগুলোও ঠিকমত কাজ করতে পানির দরকার হয়। এই ফ্লুইডের কাজ হচ্ছে হাড়গুলোর ঘর্ষণ কমিয়ে স্মুদলি নাড়াতে সাহায্য করা। তাই টায়ার্ড অবস্থায় পানি পান করলে এই ফ্লুইড আরো স্মুদলি হাড় নাড়াতে সাহায্য করে। মজার ব্যপার এই ফ্লুইডকে কিন্তু নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়।

.

তিন,

.

এনার্জি উৎপন্ন করার জন্য দরকার যে গ্লুকোজ, এটিপি দরকার হয়, সেগুলোর হাইড্রোলাইজেশনের (Hydrolization) তো পানি ছাড়া সম্ভব নয়ই। আবার এগুলো পেশিতে পেশিতে পৌছানোর জন্যও সেই পানিই দরকার হয়।

.

সুতরাং পানি সরাসরি এনার্জি প্রডিউস করতে না পারলেও, পানি ছাড়া আপনার দেহে এনার্জি সাপ্লাই হবে না।

.

পানি খেলে আমরা এনার্জিটিক হই না, পানি খেলে কেবল টায়ার্ডনেস (ফ্যাটিগ) দূর হয়। দুটো সেম জিনিস নয়। 

.

.

কিছু তথ্যসূত্র ফারদার স্টাডির জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

https://www.ausetute.com.au/hydrolysiscarbs.html

https://www.absopure.com/blog/4-ways-drinking-water-can-benefit-your-muscles

https://en.wikipedia.org/wiki/Synovial_fluid

https://en.wikipedia.org/wiki/Muscle_fatigue



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে