একটি নবজাতক শিশুর দিকে তাকালে এটি ধারণা করা কঠিন হতে পারে, যে শিশুটির প্রায় ৩০০ টি এর অধিক হাড় রয়েছে ।
তাই সব শিশুই যে ৩০৬ টি হাড় নিয়ে জন্মাবে এটা ভুল ধারণা ।
হ্যা তবে অবশ্যই ৩০০ এর অধিক নিয়ে জন্মায় ।
কিন্তু পূর্ণ বয়সে একে বারে ২০৬ টি পূর্ণ হাড় এই থাকবে !
হ্যাঁ, এটা একদম সত্য । তবে শিশুদের হাড় কম শক্ত এবং অনমনীয় বলে মনে হলেও এগুলি আসলে জীবন্ত টিস্যু এবং ক্যালসিয়াম দ্বারা তৈরি যা জীবন জুড়ে সর্বদা পরিবর্তন হবে ।
একে বারে , শিশুর জন্ম থেকে শুরু করি ।
হাড়ের বিকাশের প্রক্রিয়াটিকে ওসিফিকেশন বলা হয়। এটি ভ্রূণের বিকাশের অষ্টম সপ্তাহের দিকে শুরু হয় - বেশ অবিশ্বাস্য ব্যাপার !
শিশু শৈশবে বড় হওয়ার সাথে সাথে, সেই কারটিলেজের বেশিরভাগ অংশই আসল হাড় দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে থাকবে। আর শিশুর অনেক হাড় একসাথে ফিউজ হবে, যার অর্থ হাড়ের আসল সংখ্যা হ্রাস পাবে।
অবশেষে ফিউজ হওয়া দুটি হাড়ের প্রান্তকে পৃথক করে যে কারটিলেজ টা মিলিত হতে থাকবে।
সংশ্লেষিত হাড়ের সাথে কারটিলেজ প্রতিস্থাপন শুরু করে যখন
তখন ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলি অস্টিওব্লাস্টগুলিতে পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে, কোষগুলি হাড়কে গঠন করে। অস্টিওব্লাস্টগুলি হাড় তৈরি করে যা প্রথমে কারটিলেজকে রুপান্তর করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত এটি প্রতিস্থাপন করে পূর্ণ হাড় তৈরি করে।
তারপরে, বাচ্চাদের হাড়ের বৃদ্ধি অনেকগুলি হাড়ের প্রান্তের উপর নির্ভর করে যাকে "গ্রোথ প্লেট" বলা হয় । প্রতিটি প্লেটের ক্রমবর্ধমান টিস্যু হাড়ের চূড়ান্ত আকার এবং আকার নির্ধারণ করে। যখন পর্যাপ্ত বৃদ্ধি হয়ে যায় গ্রোথ প্লেটগুলি বন্ধ হয়ে যায় ।
এভাবে শিশুর গ্রোথ এর সাথে হাড় ও গ্রোথ হয় । এক পর্যায়ে ২০৬ টি পূর্ণাঙ্গ হাড় হয়ে যায়।
Reference:Heathline (English website )
একটা শিশু জন্মের পর তার দেহে ৩০৬টি হার থাকলেও অস্থিতে ফিশন এবং খনিজকরণের ফলে অস্থির সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে একই পরিমাণে ঘটেনা। যেমন - একজন ৭ বছরের বাচ্চার শরীরে ২৫০-২৭০টি অস্থি থাকলে দেখা যায় একই বয়সের বাচ্চার শরীরে অস্থির পরিমাণ হয় ২০৬-২২০টির মতো। এটি ভিন্ন একটি বিষয়। ২৫ বছর বয়সের মধ্যে সাধারণত খনিজকরণ এবং ফিউশন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। গ্রোথ প্লেটগুলো নিলীন হয়ে যায় এবং একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষের শরীরে সাধারণত ২০৬টি অস্থি থেকে যায়।
তাছাড়া - শিশুদের শরীরে খুব নমনীয় অরুণাস্থি থাকে। শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে কিছু তরুণাস্থি শক্ত হয়ে অস্থিতে পরিণত হয় এবং কিছু হাড় একসাথে একীভূত হয় যার কারণে অস্থির সংখ্যা হ্রাস পায় । ঠিক সেই কারণেই আমরা যখন বড় হই তখন আমাদের অস্থি বা হারের সংখ্যা কমে গিয়ে ২০৬টি হয়ে যায়।