শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান তথা মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারিমে যতগুলো পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, ‘ইকামাতে দ্বীন’ তন্মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ।

ইকামাতে দ্বীনের অর্থ হচ্ছে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা বা কায়েম করা। সূরা আশ শুরার ১৩ নাম্বার আয়াতে ‘ইকামাতে দ্বীন সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে ‘তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’

উক্ত আয়াতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ইকামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা ফরজ।

আল্লাহ তাআলা আকাশ-জমিনের সবকিছুর মালিক সে আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য এমন এক দ্বীন শরীয়ত হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সব ধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র। সে দ্বীন হল ইসলাম, এ শ্রেষ্ঠ দ্বীন দিয়ে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠ মানুষদের প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন হলেন ‘উলূল আযম’ রাসূল। যথা: নূহ, ইবরাহীম, মূসা, ঈসা (আঃ) ও আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত যত নবী-রাসূল পৃথিবীতে এসেছেন সকলের ধর্মের মূলনীতি ছিল একটি, আর তা হলো এক আল্লাহ তাআলার ‘ইবাদত করতে হবে, যিনি ব্যতীত আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তোমার পূর্বে যখন কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তার প্রতি এ ওয়াহী করেছি যে, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই; সুতরাং আমারই ‘ইবাদত কর‎।’ (সূরা আম্বিয়াঃ ২১ : ২৫)।


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা রাসূলগণ বৈমাত্রেয় ভাই। (পিতা একই মাতা ভিন্ন) কিন্তু আমাদের সকলের ধর্ম এক ও অভিন্ন।


অর্থাৎ সকল নবীদের প্রতি এ মর্মে ওয়াহী করেছেন যে, তোমরা দ্বীন তথা আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান, রাসূলদের আনুগত্য ও তাওহীদের সাথে সকল ইবাদত সম্পাদন কর। এটাই সকল নাবীদের দ্বীন, যদিও নিয়ম-পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য ছিল। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,


“আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছি একটি নির্দিষ্ট শারীয়ত ও একটি নির্দিষ্ট পথ।” ( সূরা মায়িদাঃ ৪৮)।


(وَلَا تَتَفَرَّقُوْا فِيْهِ)


অর্থাৎ ধর্মের ভেতর দলাদলি ও মতানৈক্য সৃষ্টি করিও না। এ আয়াতে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত রাখা ফরজ ও বিভেদ সৃষ্টি করা হারাম বলা হয়েছে। ধর্ম বলে ইসলামকে বুঝানো হয়েছে যা সকল নবীদের ধর্ম। সুতরাং ধর্মের ওপর ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে, বিভিন্ন দল ও মতে বিভক্ত হয়ে ফেরকা তৈরি করা যাবে না।


আল্লাহ তাআলা বলেন, “নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দীনকে (বিভিন্ন মতে) খণ্ড বিখণ্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।” (সূরা আনআম ৬ : ১৫৯)।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ