মৃত্যুর পরেও মানুষের সম্মান রক্ষার জন্য আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে কবরস্থ করার ব্যবস্থা করেছেন। মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়াই আল্লাহ প্রদত্ত চিরন্তন বিধান। ইসলামী শরীআতে এই বিধান রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তৎপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। (আবাসা ৮০/২১)।
মানুষ হিসেবে মৃত ব্যক্তির সম্মান সুনিশ্চিত করা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কেননা, সৃষ্টিকুলের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাবান প্রাণী হলো মানুষ। মানবজাতির প্রতি সম্মান জানিয়ে পৃথিবীতে মানুষের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আদমের সন্তানকে সম্মান দিয়েছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের জন্য বাহন দিয়েছি, তাদের উত্তম রিজিক দিয়েছি এবং যাদের সৃষ্টি করেছি, তাদের অনেকের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭০)।
মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা শুধু জীবিত থাকাকালেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং মৃত্যুর পরও এ সম্মান অব্যাহত থাকবে।
ইসলামী শরিয়ায় মানুষ হলো এক অনন্য সৃষ্টি, সে জীবিত হোক বা মৃত একই সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই ইসলামী আইনের একটি নীতি হলো, ‘মানবসন্তান জীবিত বা মৃত হোক সম্মানের পাত্র বলে গণ্য হবে।’ (আল মাবসুত, ৫৯/২)।
হাদিসে মৃত ব্যক্তির হাড় ভেঙে ফেলাকে জীবিত মানুষের হাড় ভেঙে ফেলার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। অনুরুপ মৃত ব্যক্তিকে পুড়িয়ে ফেলা জীবিত মানুষকে পোড়ানোর মতই।
রাসূল (সা.) বলেন, মৃত ব্যক্তির হাড় ভেঙে ফেলা জীবিত মানুষের হাড় ভেঙে ফেলার মতো। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৩২০৯)।
অতএব মৃত মানুষকে পুড়িয়ে ভস্ম করা উক্ত আবহমান কালব্যাপী এলাহী সুন্নাতের স্পষ্ট লংঘন।