করোনার লক্ষণ:
রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।
এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে।
সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ মানব দেহে ১০ দিন জারি থাকে। আর সঙ্গে শুকনো কাশি।
ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে।
আপনার হাতের কব্জি ও আঙ্গুলে ব্যাথা মূলত ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত কারনে হতে পারে। দিনের বেলা কাজকর্ম করার কারনে সাধারন ব্যাথা অনুভব হয় না। এছাড়া অন্য বিভিন্ন কারনে এই ধরনের ব্যাথা হতে পারে। এক্ষেত্রে, চিকিৎসকের সরণাপন্ন হওয়াটা শ্রেয়।
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা:
আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার পারদ উত্তরোত্তর নামতে শুরু করেছে। ব্যাপারটা বেশ উদ্বেগজনক। কেননা উষ্ণতা জীবনের মানদণ্ড আর শীতলতা মৃত্যুর পরিচায়ক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ মেডিসিন’-এর সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, ১৬০ বছর বা তার কিছুটা বেশি সময় আগে আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা ছিল তার উষ্ণতা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে গেছে ০.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ০.২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই তাপমাত্রা নেমেছে বলছেন গবেষকরা।
এই গবেষকরা বলেছেন, স্বাভাবিক তাপমাত্রা আর আগের মত নয় এখন পুরুষদের ক্ষেত্রে ধরতে হবে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মহিলাদের দেহের তাপমাত্রাও। তবে সেই হার পুরুষের তুলনায় সামান্য কম। মহিলাদের শরীরের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখন ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক জুলে পার্সনেট এবং তাঁর দল ১৯০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের মতে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে মানুষের ওজন, জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং উন্নত চিকিৎসা।
শরীরের তাপমাত্রা সবার জন্য এক নয়। লিঙ্গ, বয়স এবং অন্যান্য কারণের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকতে পারে। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে ৯৭.৯ থেকে ১০০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৮৫১ সালে দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত জানতে ২৫ হাজার লোকের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তারপর তার গড় কষে তখন বলা হয়েছিল, ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট আমাদের দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা। তবে সামান্য কিছু বেশি হতে পারে, আবার ততটাই সামান্য কমও হতে পারে। কিন্তু দুটিকে যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করলে তার মান হবেই হবে ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২০ সালে এসে সেই পুরনো হিসাব এখন আর চলবে না। বর্তমানে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট মানতে হবে।