তাহাজুত নামাজ পড়ার সময়টা কখন মানে রাত কয়টায় উঠে পড়বো?
মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জমানায় তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য আলাদা আজান দেওয়া হতো। এখনো মক্কা শরিফে ও মদিনা শরিফে এই নিয়ম চালু আছে। তাহাজ্জুদের আজানের পরেও (ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত) সাহরি খাওয়া যায়। তাহাজ্জুদ নামাজ একা পড়াই উত্তম। তাই অন্য সব সুন্নত ও নফল নামাজের মতো তাহাজ্জুদ নামাজের সুরা কিরাআত নিম্ন স্বরে পড়তে হয় এবং এর জন্য ইকামাতেরও প্রয়োজন হয় না।
রাত ২ টার পর থেকে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ ভোরঃ ৪:২৬ এর আগে যেকোন সময় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নিতে পারেন।
মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত।
আর সাহরির সময় শেষ হলে (বর্তমান সময় ভোরঃ ৪:২৬) তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়।
মাসরূক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী (সাঃ)-এর নিকট কোন আমলটি সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।
(আল-লুলু ওয়াল মারজান, হাদিস নম্বরঃ ৪২৯ বুখারী পর্ব ১৯ /৭ হাঃ ১১৩২, মুসলিম ৬/১৭, হাঃ ৭৪১ হাদিসের মানঃ সহিহ)।