আমার বয়স ১৯ বছর,আমি একজন ছেলে।
আমি একটা মেয়ের সাথে ২ বছর আগে রিলেশেনে যাই। আমার ব্যাচমেট ছিল।একই কলেজে পড়তাম।মন থেকে অনেক ভালোবাসি থাকে।আমাদের ভালোবাসাও সুন্দর ভাবে সামনে এগিয়ে চলছিলো।
কিন্তু ২ বছর পর হঠাৎ সব কিছু উল্টে গেল।কিছু দিন আগে ও আমার কাছে বলে যে, স্কুলে থাকতে একজন কে সে লাভ করতো ঐ ছেলে ওর ক্লাসমেট ছিল।কিন্তু সেটা নাকি   One side লাভ ছিল, মানে আমার প্রেমিকাই শুধু ঐ ছেলেকে লাভ করতো,তাদের মধ্যে কোন রিলেশেন হয়নি।কিন্তু ঐ ছেলে কে নাকি আজো সে ভুলতে পারে না,ঐ ছেলের কথা মনে পরলে একা একা কান্না করে।কষ্টের গান শুনে।
যেগুলা আমার কাছে ২ বছর গোপন করছিলো।কিন্তু কদিন আগে সে নিজেই আমার কাছে এগুলা বলে।সে নাকি আমার কাছে না বলে থাকতে পারছিলো না,আবার বলতেও পারছিলো না এই ভয়ে যদি আমি থাকে ছেড়ে যাই।আমাকেও অনেক লাভ করে।
কিন্তু, এই সত্য টা এতদিন পর শুনার পরে, আমি রেগে যাই অনেক গালাগালি করি।
আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি,
ও যদি ঐ ছেলেকে নাই ভুলতে পারে তো আমাকে কি সত্যি লাভ করে.?
ও যদি ঐ ছেলেকে এতই লাভ করে,যার জন্য আজো ভুলে পারে নাই,তাহলে কি ২ বছর আমার সাথে ছলনা করলো.?
আমি এগুলা তারেও জিজ্ঞাস করছি সে বলে,আমাকে সত্যি লাভ করে।
সে বলে,
"প্রথমে একজন রে লাভ করছে তারে পাই নি বলে আমাকে নিয়ে নাকি নতুন করে বাঁচতে চাইছিলো।"
কিন্তু, তার উপর অামার অনেক টা বিশ্বাস হারিয়ে গেছে।
এই অবস্থায় আমার কি করা উচিত.?
তার সাথে রিলেশেন রাখবো.?
কিন্তু তাঁরেও আমি অনেক লাভ করি,
১ দিন কথা না হলে ঘুমাতে পারি না।
এত ঝগড়ার পরেও কথা বলি।
কিন্তু মনের মাঝে ঐ উপরের প্রশ্ন গুলা রয়েই যায়।
আমি প্রচুর ডিপ্রেশনে ভুগছি। কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না।


বি. দ্র: ঐ ছেলের সাথে বর্তমানে আমার gf এর কোন সম্পর্ক বা যোগাযোগ নাই। ৩ বছর আগে SSC বিদায় অনুষ্টানের পর তাঁদের দেখা বা কথাও হয় নি। 




শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sayem765

Call

অধিকাংশ মানুষ এর প্রথম ভালোবাসাই হয় ভুল মানুষের সাথে।যা শুধু কষ্টের কারন ই হয়, তাছাড়া কিছু না।হতে পারে আপনার গার্লফ্রেন্ড সেই ছেলেকে সত্যি ভালোবেসেছিল বা বাসে,আর হয়তোবা হটাৎ তাকে না পাওয়ার আফসোস থেকে তার প্রতি দুর্বলতা জন্ম নিয়েছে,তাই মনে হচ্ছে যে সে হয়তো ওই ছেলেকে ভালোবাসে।আর ভালোবাসলেই বা কি, আপনার তো তাতে বড় কোন ক্ষতি নেই, হ্যাঁ এটা একটু কষ্ট বা আফসোস এর যে তার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা হতে পারেন নি,তবে প্রথম ভালোবাসা ই শুধু ভালোবাসা হয় সেটা একদম না। কিছু কিছু সময় প্রথম ভালোবাসা থেকে দ্বিতীয় বা পরের ভালোবাসায় বেশি ভালোবাসা থাকে।আর যেমনটা আপনি বললেন,দুই বছর রিলেশন আছে,আর ওই ছেলেকে আপনার গার্লফ্রেন্ড খুব ভালো করে চিনতও না, অন্তত আপনার মতো ভালো করে তো অবশ্যই না।এটা ধিরে ধিরে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন,আপনাকে যদি নাও ভালোবাসে তবুও আপনার সাথে সে দুই বছর ছিল,আর অন্যদিকে ওই ছেলের সাথে রিলেশন ই হয় নি, যদি ওই ছেলের সাথে রিলেশন হয় তাকে চিনতে পারে তখন হয়তো সে আপনার কাছেই ফিরে আসবে,কারন আপনাকে সে যে কারো থেকে ভালো করে চেনে,আর রিলেশন এ একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস ই মূলমন্ত্র।তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনি তাকে কতটা বিশ্বাস করেন। আর ধৈর্য ধরুন, আপনি এখন কিছু খারাপ করে বসলে আপনার ই ক্ষতি, হয়তো কিছু দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আপনি নিজের ক্ষতি করলে তা রয়ে যাবে। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার মেয়েটির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত কষ্টগুলো কার কাছে শেয়ার করে জানেন?একমাত্র তার বিশ্বস্ত ও ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে।আর মেয়েটি যেহেতু এতদিন একটু কষ্টে ছিল তাই আপনার সাথে তার কষ্টগুলো বলেছে আপনাকে সে অনেক আপন ভাবে বলে।এ সময় আপনার তার সাথে খারাপ আচরণ করা একেবারেই উচিত হয়নি যেহেতু সে আপনাকে ও আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন।কষ্ট ভাগাভাগি করলে কষ্ট কমে আর সুখ ভাগাভাগি করলে সুখ বাড়ে।তাই এখন তার পাশে থাকুন এবং তাকে বলুন আপনি সবসময়ই তার সুখ-দুঃখে পাশে থাকবেন।দেখবেন আপনার ভালোবাসার মানুষটি কষ্ট দূর হবে এবং তার কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।কথায় আছে কাঁটা দিয়ে যেমন কাঁটা তুলতে হয়।তাই তার আগের ওয়ান সাইড ভালোবাসাকে ভোলাতে তাকে ভালোবাসা দিন এবং সবসময়ই তার পাশে থাকুন।দেখবেন আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনারই থাকবে।আর একটা ভালোবাসা কিভাবে সারাজীবন দীর্ঘস্থায়ী হয় যানেন?ভালোবাসার মানুষগুলোর  শেয়ারিং,কেয়ারিং,ট্রাস্ট,স্যাকরিফাইস ও মানিয়ে নেওয়ার জন্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি উপরের দুজন এর দেয়া উত্তরের সাথে একমত হতে পারলাম না।আমি আমার নিজের মতটুকু প্রকাশ করছি।আশা করি আপনার কাজে আসবে।প্রথমত আমি বলতে চাই যে, আপনি যে বয়সে আছেন সে বয়সে প্রেম আসতেই পারে।কিন্তু আপনাকে নিজের কথাও ভাবতে হবে।যেমন আপনি এখন ডিপ্রেশনে আছেন।তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনি পরোক্ষভাবেও অনেক ডিপ্রেশনে ভুগেছেন,ভুগবেন।কথাটা পরিষ্কার করে বলি।যেমন আপনি বললেন যে একদিন না কথা বলে থাকতে পারেন না।আমার মতে এটাও এক ধরনের ডিপ্রেশন।বলতে পারেন এটা ডিপ্রেশন হলো কেমন করে?আচ্ছা কোনো মানুষের সাথে যে প্রতিদিনই কথা বলতে হবে তার কোনো অর্থ নেই।আপনি আপনার মাকেও ভালোবাসেন।আপনি যদি কোথাও বেড়াতে গিয়ে সারাদিন মার সাথে কথা না বলেন, তাহলেও তো খারাপ লাগার কথা না, যতটা প্রেমিকার সাথে কথা না বলে খারাপ লাগে।আপনি স্বাভাবিকভাবে প্রেমিকার সাথে যদি দিনে আধা ঘন্টা কথা বলেন, আপনার মনে দেখবেন খারাপ লাগার সৃষ্টি হয়েছে, এটাই সেই পরোক্ষ ডিপ্রেশন।এখন আসি মুল কথায়।আপনি চান কিভাবে ডিপ্রেশন কাটাবেন।আপনার প্রথম ও শেষ পরামর্শ হলো আপনি সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিন।ওর সাথে কথা না বললে আপনি মরে যাবেন না।।বাট এভাবে চললে আপনার মানসিক সমস্যা বাড়বে।পড়াশোনা করতে পারবেন না।হ্যা, আমি জানি, প্রথম কয়েকদিন খুব খারাপ লাগবে।কিন্তু পরে দেখবেন আগের চেয়ে বেটার লাইফ লীড করছেন।আমি আপনাকে চিনি না।আপনার সাথে আমার কোনো দ্বন্দ নেই।একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমার পরামর্শ টা মেনে দেখতে পারেন।ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ