আমি চাইলেও নামাজ পড়তে পারি না শুধুমাত্র একটা সন্দেহের কারনে৷ আমি খোলামেলা আলোচনা করছি। ব্যাপারটা হলো, প্রস্রাবের পরে আমি পানি নেই ঠিকি। কিন্তু তারপর যখন উঠে যাই তখন দেখা যায় প্যান্টে লিংগ থেকে প্রস্রাবের ফোটা একটু বের হয়ে লেগে যায়। তখন মনে হয় যে প্যান্টটা তো অপবিত্র হয়ে গেলো এখন কিভাবে আর নামাজ পরি! আবার মাঝে মাঝে প্রস্রাবের ফোটা না লাগলেও প্রস্রাবের পরে যে পানি নেই, সেই লিংগে লেগে থাকা পানি প্যান্ট এ লেগে গেলে আমার আবার মনে হয় যে এখন আর এই প্যান্ট নিয়ে কিভাবে নামাজ পরব, আমিতো অপবিত্র! তাই আপনাদের কাছে জানতে চাইছি আমি কি করতে পারি। আমাকে সঠিক পথ দেখান। আল্লাহর দোহাই ভাইবোনেরা, আমাকে সাহায্য করুন। আমি দৈনিক নামাজ পড়তে চাই।                 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

আপনি একজন আলেমের স্বরনাপন্ন হউন ।


পুরুষদের জন্য ডিলা কুলুখ দুইটাই করতে হবে ।


মহিলাদের জন্য সুধু কুলুখ করলেই যথেষ্ঠ ।


প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে আপনি পুরুষ আর পুরুষের জন্য ঢিলা কিলুখ দুইটাই নিতে হবে ।


ঢিলা = মাটি, পানি শোষন করতে পারে এমন ইট, টিস্যু পেপার ।


কুলুখ = পানি নেওয়া ।


তাই প্রশ্রাব করার পর টিস্যু আগে ব্যাবহার করুন টিস্যু চেপে ধরে  কিছু খন ৪০ কদম হাটুন প্রোয়োজনে টয়লেটেই হাটুন কয়েক কদম হাটুন আটকে থাকা অবশিষ্ট প্রস্রাব পড়ে গেলে পানি নিয়ে লিঙ্গ ধৌত করুন পানি নাপাক নয় কাজেই পানি প্যান্টে ভরলে প্যান্ট নাপাক হবেনা ।


আর পারলে ভাল একজন বিজ্ঞ আলেম এর কাছে যান । 


-ধন্যবাদ





ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আস সালামু আলাইকুম,

ভাই আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুন।

আপনি সন্দেহের কারনে নামাজ ছেরে দেওয়া অনেক বড় ভুল করছেন।

প্রাসবের পর আপনি মাটির ঢিলা অথবা টিস্যু ব্যবহার করুন প্রয়োজনে কিছুক্ষন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকুন। ৪০ কদম হাঁটার ব্যাপারে যে নিয়ম প্রচলিত আছে তা বেহায়া পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনি কিভাবে পারেন আপনার লজ্জাস্থানে হাত রেখে মানুষের সামনে হাটাহাটি করতে!! তাছাড়া এটা কোন হাদীস দাড়াও প্রমানিত নয়।


কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে হালকা ভাবে কোথা দিন। দেওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


অতপর নামাজের জন্য ওযু করুন,ওযুর পর কিছু পানি ছিটা দিন লজ্জাস্থানের জায়গায়।


তারপর আপনি নামাজ আদায় করুন।


তবে অন্যকোন সময় আপনার যখন সন্দেহ হবে যে দুই এক ফোটা প্রসাব বের হচ্ছে আপনি চেক করে দেখুন,যদি আসলেই হয় তাহলে চিকিৎসা করান  এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত  ওইভাবেই নামাজ আদায় করুন। আর যদি দুই এক ফোটা প্রসাব বের না হয় তাহলে সন্দেহ কে মন থকে দূর করে দিন।  আমি দলিল স্বরুপ কয়েকটি হাদিস স্ক্রিনশট হিসেবে দিয়ে দিলাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ