না, বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজে ফাইল রাখতে কোন প্রকার মেমোরি প্রয়োজন হয়না। তবে আপনি যে পরিমাণ ফাইল আপলোড করবেন তার সমপরিমাণ মেগাবাইট খরচ হবে।
বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড স্টোরেজ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্রি স্পেস দিয়ে থাকে। যেমন গুগোল 15 জিবি, মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ 5 জিবি ফ্রী দিয়ে দেখে। এই পরিমাণ মেগাবাইট খরচ করে আপনি ফাইল ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এরপরও যদি আপনার স্টোরেজের প্রয়োজন হয় তবে আপনি প্রিমিয়াম প্যাক কিনতে পারেন যার জন্য মাসিক আপনার 400 থেকে 500 টাকা খরচ হতে পারে।
ক্লাউড স্টোরেজে ফাইল জমা রাখলে আপনার লোকাল মেমরি খরচ হবে কিনা তা নির্ভর করে ঐ ক্লাউড স্টোরেজটি আপনি কিভাবে ব্যবহার করছেন তার উপর.
যদি আপনি ব্রাউজার ব্যবহার করে ফাইল আপলোড করেন তবে লোকাল মেমরি ব্যবহার হবেনা. ফাইলের সাইজ অনুযায়ী ক্লাউড স্টোরেজের স্পেস ব্যবহার হবে.
আবার যদি আপনি ক্লাউড স্টোরটি ঐ কোম্পানির এপ্স বা সফটওয়ার ইন্সটল করে ব্যবহার করেন তবে ক্লাউড স্টোরেজ এ আপলোড করার জন্য সফটওয়ারটি লোকাল মেমরির ফোল্ডার এড্রেস ব্যবহার করে. এর ফলে ঐ ফোল্ডারে ফাইল রাখলে তা অটো ক্লাউড স্টোরে আপলোড হয়ে যায়. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে মেমরীর জায়গাও খরচ হয় কারন লোকাল স্টোরেজের ঐ ফোল্ডার থেকে আপলোডের পর ফাইল ডিলিট করে দিলে অটো সিনক্রোনাইজ হয়ে আবার ক্লাউড থেকে ঐ ফোল্ডারে ফাইল ডাউনলোড হয়. কিছু কোম্পানির সফটওয়ারে অটো সিনক্রোনাস অফ করা যায় আবার কিছু কোম্পানির সফটওয়ারে অফ করা যায়না. কাজেই ব্যবহারের সময় বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন. লোকাল মেমরীতে রাখতে না চাইলে ব্রাউজার দিয়া ওয়েব ব্যবহার করে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন. আর হ্যা এক্ষেত্রে ফাইল গুলো জিপ করে রাখতে চেষ্টা করুন. তা না হলে ভিডিও বা পিকচার হলে তা কনভার্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে. কিছু ফ্রি ক্লাউড প্রোভাইডার এই কাজ করে থেকে. তবে প্রিমিয়াম ক্লাঊদে আপনার অনুমতি ছাড়া এমন হবে না.