প্রিয় ভাই, পাক-নাপাকের ব্যাপারে মূলনীতি হল, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে নাপাক হওয়ার বিষয়টি জানা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো জিনিসকে নাপাক বলা যায় না। (হিন্দিয়া: ১/৪৫)
সুতরাং আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি পায়খার ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে পায়খানা শার্টে লেগেছে বলা যাবে না। আর যদি নিশ্চিত হন, শার্টে এক দেরহাম পরিমাণের চেয়ে বেশি পায়খানা লেগেছে, তাহলে যতটুকুতে লেগেছে, ততটুকু ধুয়ে ফেলা জরুরি। পুরো শার্ট ধোয়া জরুরি নয়।
এবার আসুন বিস্তারিত -মানুষের পায়খানা পশ্রাব নাপাকে গলিজার অন্তর্ভুক্ত ,এর হুকুম হলো, গায়ে বা কাপড়ে একদিরহাম/এর ছেয়ে বেশি লাগলে তা ধৌত করা ওয়াজিব,অন্যথায় ঐ নাপাকযুক্ত কাপড় বা শরীরে নামাজ পড়লে নামাজ হবেনা(শুকনা হলে এক দিরহামের ওজন পরিমাণ আর ভেজা হলে এক দিরহাম পরিমাণ) ৷হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এক দিরহাম পরিমাণ রক্তের কারণে নামায পুনরায় আদায় কর। (সুনানে বায়হাকী কুবরা ৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস ১০৭৮৩)
আপনি যে বললেন, পরীক্ষার কারণে আপনি পুঃ গোসল করতে পারেন নি,ভাই!এখানে তো গোসলের কোন মাসআলাই নেই৷ আপনি যদি নিশ্চিতও হন ঐটা পায়খানা তবুও এখানে গোসলের প্রয়োজন নেই, শুধু শার্ট এর ঐ অংশ ধৌত করা প্রয়োজন৷
আর দ্বিতীয় কথা-আপনার স্পর্শের দ্বারা কেউ নাপাক হয় নি(এখানে আপনি নিজেই নাপাক না!)।
যেনে রাখা ভালো-কোন ব্যাক্তির গোসল ফরজ হওয়ায় তার স্পর্শের কারণে অন্যের গোসল ফরজ হয়না,বা নাপাক হয় না৷