যাদের ধমনীতে প্রকৃত বাঙ্গালীর রক্ত বহমান তারা অবশ্যই বাংলার রক্ষক হিসেবে বাঘের ন্যায় সাহসিকতার সাথে অতন্দ্র প্রহরী। তারা বাংলা ভাষা, এর শব্দশৈলী, শব্দভাণ্ডার রক্ষা করে চলেছেন, রক্ষা করে চলেছেন এর নিজস্ব গঠন রীতি, ব্যকরণ বিধি। তারা অবশ্যই অনুপ্রবেশকারী শব্দের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থেকেছেন, থাকবেন।
তাছাড়া,
বাঙ্গালী কেবলমাত্র একটি ভাষিক জাতি নয়। একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক জাতি। যার নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব পোশাক সংস্কৃতি।
তাই, যারা বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও শুদ্ধ বাংলা ভাষার সাথে মিশে গিয়ে তার লালন করেন, তারা জন্মগত না হলেও, তারাও বাঙ্গালী জাতির অন্তর্গত। তারাও বাংলা ভাষার ধারক, বাহক ও উত্তরাধিকারী।
আর, যারা বহিঃরক্তজাত, বা অবাঙ্গালী জাতির সাথে মিশ্রিত তারাই কাকের ন্যায় চোখ বুঝে খিচুড়ি আংলা ভাষা সৃষ্টিতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।
তাই হয়তো, কেউ একজন বলেছিলেন,বাংলাভাষী ও বাঙ্গালী জাতির মাঝে ঠিক ততোটাই পার্থক্য রয়েছে, যতো সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য ইংরাজী ভাষী ও মূল ইংরাজ জাতির মাঝের পার্থক্য রয়েছে।
যদিও ইংরাজদের সংখ্যা বিশাল ইংরাজী ভাষীদের মাঝে নিতান্তই কম। তেমনই ২৭ মিলিয়ন বাংলাভাষীর মাঝেও নিতান্তই রয়েছে সংস্কৃত সাক্ষাৎ কণ্যা বাংলা ভাষার স্বীয়পুত্র বাঙ্গালী জাতির সংখ্যা।